নূর মাজিদ : মুক্তবাজার অর্থনীতির বিরূপ প্রভাব নিয়ে অনেক আলোচনাতেই স্থান পেয়েছে বিশ্বায়নের প্রভাব। বিশেষত, স¤পদ এবং আয় বৈষম্যের মাত্রা বাড়ার পেছনে একেই দায়ি করা হয়। কিন্তু, অর্গানাইজেশন অব ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় এই দাবি মোটেই সত্য নয়, বলে দাবি করা হয়েছে। ক্যাথারিন মান নামে ওই অর্থনীতিবিদের গবেষণায় উঠে আসে, বিগত দশকে বিশ্বায়নের ধারা অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। তাই একেই আয় ও স¤পদ বৈষম্যের একমাত্র কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা উচিৎ নয়। খবর : ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।
ক্যাথারিন মান বর্তমানে সিটি গ্রুপের প্রধান অর্থনীতি বিশেষজ্ঞের দায়িত্বে আছেন। সাম্প্রতিক গবেষণাটি তিনি সেখানেই করেছেন। গত রোববার বিনিয়োগ ব্যাংকটি যা প্রকাশ করে। সেখানে বলা হচ্ছে, বিশ্বকে মুক্তবাণিজ্যের মাধ্যমে যুক্ত করার প্রক্রিয়া এক দশক ধরেই পড়তির দিকে অবস্থান করছে। বাণিজ্যের আকার বাড়লেও এই সময় ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলোর প্রতিযোগিতা বিশ্বায়নকে বাঁধাগ্রস্ত করছে।
কিন্তু, বিশ্বায়নের গতি কমলেও এর নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে বিরোধিতা এবং সমালোচনায় কোন ভাটা পড়েনি। সংরক্ষনবাদি রাজনীতিতেও এখন বিশ্বায়ন বিরোধিতা মূল সুরে রূপ নিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রা¤েপর মতো নেতারা যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ট্রা¤প ক্রমবর্ধমান সামাজিক ও আর্থিক বৈষম্যের পেছনে বিশ্বায়ন এবং অবাধ বিশ্ব বাণিজ্যের প্রক্রিয়াকেই দায়ী করেন। বিশেষত, যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্ব এবং শ্রমবাজার অন্য দেশে স্থানান্তরিত হওয়াকে তিনি এই প্রক্রিয়ার সবচেয়ে বড় ক্ষতি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
কিন্তু, অর্থনীতিবিদ মানের মতে বিশ্বায়নে যুক্ত দেশগুলো সার্বিক আকারে ধনী হয় বা হওয়ার সুযোগ লাভ করে। মূল সমস্যাটা সরকারের স¤পদ বন্টন ব্যবস্থাপনায়। স্থানীয় শাসক শ্রেণী যখন মুক্তবাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত স¤পদের সুষ্ঠু বন্টন নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হন, তখনই সমাজে বৈষম্য বাড়ে। সম্পাদনা : ইকবাল খান