ইমরুল শাহেদ : ৫ আগস্ট বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত সরকারের জারি করা কারফিউর ২৪তম দিন অতিবাহিত হয়েছে বুধবার। এ সময়ে পুরোপুরিভাবে কাশ্মীরের জনপদ থমকে যাওয়ায় প্রায় পাঁচ হাজার হোটেল বন্ধ হয়ে গেছে। হোটেলগুলো থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার কর্মচারিকে। কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস।
হোটেল মালিকরা বলছেন, গত তিন সপ্তাহ থেকে তারা লোকসানের মধ্যে আছেন। ঋণের কিস্তি পরিশোধ করার ক্ষমতা নেই এবং কর্মচারিদের বেতনও দিতে পারছেন না তারা। শ্রীনগরের বোলেভার্ড হোটেলের মালিক ফয়েজ আহমেদ লোনে বলেছেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার ৫ আগস্ট সংবিধান থেকে ৩৭০ অধ্যায় বাদ দিয়ে কারফিউ জারি করার পর থেকে হোটেল মালিকরা লোকসান দিতে শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওয়েটার এবং কুকসহ আমার ২৫ জন কর্মচারি ছিল। আমি প্রথম ধাপে তাদের ১৬ জনকে বাদ দিয়েছি এবং পরের ধাপে আরো তিনজনকে বাদ দিয়েছি। কারণ বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমি তাদের মাসিক বেতন পরিশোধ করতে অক্ষম।’ পর্যটন প্রায় ধ্বংসের মুখে গিয়ে ঠেকেছে।’
এভাবে প্রায় সব হোটেল থেকেই কর্মচারিদের বেতন দিতে না পারার কারণে ছাঁটাই করা হচ্ছে। আর্শিদ রাসুল নামের একজন ছাঁটাই হওয়া কর্মচারি গণমাধ্যমকে বলেছেন, হোটেল ব্যবস্থাপনা বেতন দিতে পারবে না বলে তাকে চাকরি ছেড়ে দিতে বলা বলেছে। তিনি শ্রীনগর-বারমুল্লা হাউয়ের এম্পেরর হোটেলে ওয়েটার হিসেবে কাজ করছিলেন।
অন্যদিকে বুধবার কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুল খুলেছে। কিন্তু কোনো শিক্ষার্থীই স্কুলে যায়নি। ভারত কর্তৃপক্ষের কারফিউ জারির পর গত তিন সপ্তাহ থেকে স্কুলগুলো বন্ধ ছিল। কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘বুধবার সকালে কিছু স্কুল খুলেছে।’ কিন্তু স্কুল খুললেও তাতে কোনো শিক্ষার্থী নেই। কেবল দু’একজন কর্মচারিকে স্কুলে আসতে দেখা গেছে। সম্পাদনা : ইকবাল খান