ড্রোন জরিপে নারিন্দা মিরপুর কমলাপুরে এডিসের সাড়ে ৫ হাজার প্রজননস্থল
রেজা মাহমুদ : ঢাকার তিন এলাকার ২১৪ একর যায়গায় ড্রোন উড়িয়ে খোজা হলো এডিস মশার বাসস্থান । গ্রুপম্যাপারস ও ইগলেক্স নামে দুটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এ কার্যক্রম পরিচালোনা করে। ড্রোনে তোলা ছবি থেকে চিহ্নিত করা হয় ৫ হাজার ৩৪৭টি এডিস মশার প্রজননস্থল।
গত শুক্রবার জরিপের ফলাফল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। ড্রোন দিয়ে ৫ সেন্টিমিটার রেজল্যুশনের ইমেজ দেখা গেছে, নারিন্দায় ১০৩০টি, মিরপুরে ২৭৫৮টি ও কমলাপুরে ১৫৫৯টি এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থল আছে।
প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার মশার প্রজননস্থল চিহ্নিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে উল্লেখ ইগলেক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম জানায় ড্রোনের মাধ্যমে এই তিনটি এলাকায় ১৮২টি খোলা পানির ট্যাংক ও ৪৫টি পানি সংরক্ষণাগার পাওয়া গেছে। টায়ার দেখা গেছে ৭৩২টি। ফুলের টব ২৪,২১৬টি ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র ১০৯৮টি রয়েছে। পরিত্যক্ত পলিথিন ১৬১৪টি। এ ছাড়া বালতি, মগ, গ্লাসসহ নানা ধরনের পাত্র দেখা গেছে ২২৯৪টি।
জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস মশাবাহিত রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ব্যবস্থাপক এম এম আক্তারুজ্জামান বলেন, ড্রোন জরিপে সরাসরি মশার পরিমাণ ও সম্ভাব্য প্রজননস্থল চিহ্নিত করা যাবে আর এসব তথ্য ব্যবহার করে সিটি করপোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উদ্যোগী হলে এডিস মশাও কমবে।
এছাড়াও কীটতত্ত্ববিদ মঞ্জুর চৌধুরী বলেন, রাজধানীর ছাদে কী আছে কিংবা দুই বাড়ির মধ্যকার পরিস্থিতি কী তা সিটি করপোরেশন পক্ষে জানা বেশ কঠিন। তবে প্রযুক্তির সাহায্যে কাজটি বেশ সহজ হয়ে যাবে।
জরিপের শুরুতে গ্রুপম্যাপারস ও ইগলেক্স স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তিন হাজার রোগী ও এডিস মশার ঘনত্ব সম্পর্কিত তথ্য নেয়। পরে তথ্য বিশ্লেষণ করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে জরিপ কাজ করা হয়। প্রতিষ্ঠাটি থাইল্যান্ডের হমিদোল বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিদোল-অক্সফোর্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন ইউনিটের একটি সহযোগী সংস্থা। তারা ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে ম্যালেরিয়া রোগ ও তার ভৌগোলিক তথ্য বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সহায়তা দিয়ে আসছে। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা আচার্য্য