সমন্বয়হীন খোঁড়াখুঁড়িতে চট্টগ্রামের অধিকাংশ সড়ক ব্যবহার অনুপযোগী
কেএম নাহিদ : সমন্বয়হীন খোঁড়া-খুঁড়ির কারণে চট্টগ্রামের অধিকাংশ সড়ক অনেকটা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলির রাস্তা পর্যন্ত খানা-খন্দকে ভরা। প্রধান সড়কগুলোতে অসহনীয় যানজটের ফলে চরম ভোগান্তির শিকার নগরবাসী। এ অবস্থায় ওয়াসা এবং সিটি কর্পোরেশন এ কে-অপরকে দোষারোপে ব্যস্ত। আর সিএমপি কমিশনার সমন্বয়ের মাধ্যমে রাস্তা কাটার জন্য সেবা সংস্থাগুলোকে চিঠি দিয়েছেন। সময় টিভি ১১:০০
৬০ বর্গমাইলের এই নগরীর ১২০০ কিলোমিটার পাকা সড়কের মধ্যে ওয়াসার কাজের জন্য কোন রাস্তাটি এখনো কাটা হয়নি? এ প্রশ্ন নগরবাসীর। গত দু’মাস ধরে নির্বিচারে চলছে সড়কের এ কাটাকাটি।
রাস্তার এ দূরাবস্থার জন্য যানবাহনগুলোকে পড়তে হচ্ছে নানা ধরনের দুর্ভোগে। রাস্তা সময় মতো মেরামত না করায় বড় বড় গর্তে পড়ে নষ্ট হচ্ছে গাড়ির নানা যন্ত্রাংশ। গাড়ি চালকরা বলেন, গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। আর পুলিশের হয়রানি তো আছেই।
এদিকে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নগরীর ৬০০ কিলোমিটারের বেশি পানির নতুন পাইপলাইন বসানোর কাজ করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এক্ষেত্রে কাটা রাস্তা মেরামতের জন্য সিটি কর্পোরেশনকে নির্ধারিত হারে ওয়াসা বিলও পরিশোধ করছে। কিন্তু তাতে কোনো সুফল মিলছে না। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, যে কয়টা প্রকল্প আছে একসঙ্গে রাস্তা কাটার ব্যবস্থা করা উচিত। এই কথা আমি বার বার আমি ওয়াসাকে বলেছি।
বিকল্প কোনো চলাচলের পথ না করেই একের পর এক রাস্তা কেটে চলেছে ওয়াসা। দিনের পর দিন বন্ধ থাকছে যানবাহন চলাচল। কিন্তু উন্নয়ন কাজের স্বার্থে এভাবে রাস্তা কাটা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলে দাবি ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লহর তিনি বলেন, রাস্তার পাইপলাইন করার জন্যে টেস্ট করি। তাতে কোন রাস্তার সমস্যা হলে সেটাও ঠিক করা হয়।
নগরীর রাস্তাগুলোর যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতাকেই দায়ী করছে পুলিশ। আর এ অবস্থায় যানজট নিরসনে সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান। তিনি বলেন, কোন কারণে খোঁড়া-খুঁড়ি যদি করতেই হয় তাহলে কাজ শেষ হলে অবশ্যই যেনো রাস্তা ঠিক করা হয় তার জন্যে সকল সেবা সংস্থাকে আমি চিঠি দিয়েছি।
ওয়াসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাটা রাস্তা দ্রুত সংস্কার করার জন্য ওয়াসার পক্ষ থেকে গত তিন বছরে ১৫০ কোটি টাকার বেশি বিল পরিশোধ করা হয়েছে।সম্পাদনায়: কায়কোবাদ মিলন ও রাশিদ