নতুন বাজার এবং পণ্য না আনলে ভবিষ্যতে আমাদের টিকে থাকা কঠিন হবে, বললেন শিল্পমন্ত্রী
রমজান আলী : গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে পোশাক শিল্পের অবদান বেশি। আমাদের নানা রকম বাঁধা পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হয়েছে। এই ধারা ধরে রাখতে হলে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পর বিশ্ববাজারে আর সুবিধা পাওয়া যাবে না। সেই জন্য টিকে থাকতে হলে নতুন নতুন কৌশল বের করতে হবে। বাজার ধরে রাখার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। নতুন নতুন বাজার এবং নতুন পণ্য না আনলে ভবিষ্যতে আমাদের টিকে থাকা কঠিন হবে। জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে এটা প্রয়োজন এবং করতেও হবে। আমাদের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে বিনিয়োগকারীদের সবাই এখানে আসবে। বুধবার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত চার দিনব্যাপী ২০তম টেক্সটেক বাংলাদেশ-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এসব কথা বলেন। আলোচনা শেষে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্পের বৃৃহত্তম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এবারের প্রদর্শনীতে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ইতালিসহ ২৫ দেশের ১ হাজার ২৫০ প্রতিষ্ঠানের দেড় হাজার স্টলের মাধ্যমে তাদের বস্ত্র ও পোশাকখাতের আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি পণ্য ও পরিষেবা প্রদর্শন করছে। সুতা কাপড়, রাসায়নিক এবং প্রযুক্তি তুলে ধরবে বিশ্বের নামিদামি ব্র্যান্ড।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান মনে করে, প্রদর্শনীতে ভোক্তা উদ্যোক্তা,আগত দর্শকরা প্রদর্শনীতে এলে আমদানিকারক, অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ এবং আলাপচারিতার মাধ্যমে তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে তথ্য ও সহায়তা পাবেন।
ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার সেমিনার হলে সেমস গ্লোবাল আয়োজিত প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারাস অ্যান্ড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সহসভাপতি মনসুর আহমেদ ও সেমস গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ এমডি মেহেরুন এন ইসলাম। সম্পাদনা : সমর চক্রবর্তী