হয়রানিমূলক মামলায় ভালো নেই আমার মেয়ে, বললেন মিন্নির বাবা
ইফতেখার শাহীন ও সাগর আকন : কারাগারে ১ মাস ১৮ দিন কেটে গেছে মিন্নির। বাসায় ফিরে চুপচাপ হয়ে আছে মিন্নি। শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে স্বজনদের দিকে। কিছুই বলছে না। কি যেন একটা চাপা কষ্ট বুকে বিঁধে আছে মা মনির। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে চোখ থেকে বেরিয়ে আসছে পানি। আক্ষেপ করে কথাগুলো বললেন মিন্নির বাবা মোজ্জাম্মেল হোসেন কিশোর।
তিনি বলেন, একদিকে স্বামী হারানোর শোক, অপরদিকে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা। সব মিলিয়ে ভালো নেই আমার নির্দোষ মেয়েটি।
তিনি আরও বলেন, মিন্নিকে চার্জশিটে ৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কোনো স্ত্রীর সামনে যদি তার স্বামী হামলার শিকার হন, তাহলে আসামি হওয়ার ভয়ে আর কোনো স্ত্রী তার স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে যাবে না। একটি প্রভাবশালী মহলের কারণে আমার মেয়েকে আসামি করা হয়েছে, আমার মেয়েকে বলি দেওয়া হয়েছে। মিন্নি তার স্বামীকে বাঁচানোর জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই দিন সন্ত্রাসীদের সাথে লড়েছে। অথচ আমার মেয়েকে আসামি করে দীর্ঘদিন জেলে আটকে রাখা হলো, এটাইকি ছিলো তার ভাগ্যে লেখা? এই বলে তিনি কেঁদে ফেলেন।
মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আমি এখনও সাদা পোশাকধারী পুলিশ আতঙ্কে আছি। সার্বক্ষণিক আমি ও আমার পরিবারের পেছনে তারা লেগে আছে। আমি আবারও প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি এ মামলা পুনঃতদন্ত করে সত্যকে উদঘাটন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান