সরকারের রপ্তানি ট্রফি দেয়া ইতিবাচক বললেন অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ
কেএম নাহিদ : এতে প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি তৈরি হওয়ায় রপ্তানি আয় বাড়বে বলে মনে করেন তিনি । তবে রপ্তানিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস এবং উৎপাদন খরচ কমানো গেলে প্রত্যাশা অনুযায়ী সফলতা পাওয়া যাবে বলে মনে করেন । সময় টিভি ১২:০০
রপ্তানিতে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৮৪ সাল থেকে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করে আসছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও ৬৬ প্রতিষ্ঠানকে ট্রফি তুলে দেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। ইপিবির তথ্য মতে, গত অর্থবছরে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫৩ কোটি মার্কিন ডলার। যা এর আগের অর্থ বছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি।
দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী মহল। বলছেন, রপ্তানি বাণিজ্য প্রতিযোগিতা সচল রাখতে প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে এ ট্রফি। তবে সেই সঙ্গে বাণিজ্যে সুযোগ-সুবিধার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দাবি জানান তারা।
অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, পুরস্কারের একটা পরোক্ষ ভ‚মিকা আছে, যা দেশের রপ্তানির উন্নয়ন, রপ্তানির সঙ্গে জড়িত যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে রপ্তানি হয় সেগুলোর প্রবৃদ্ধি বা সেগুলোকে এগিয়ে নিতে একটা রোল মডেল বা উৎসাহ প্রদান করে।
প্যারাগন সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মোহাম্মদ জহির বলেন, তৃণমূল থেকে মালিক পর্যন্ত সাফল্যে এ ট্রফি পেতে উৎসাহ নিয়ে কাজ করছে। এটা আমাদেকে যেমন উৎসাহিত করছে তেমনি শ্রমিকদেরও উৎসাহিত করছে, এটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছি।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খান বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যদি পুরস্কার দেয়া হয় সেটা অবশ্য উৎসাহ হিসেবে কাজ করবে। তিনি আরো বলেন, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গিয়ে আমরা কিন্তু পিছিয়ে যাচ্ছি। আমাদের যেটা দুই বছরে করার কথা সেটা হয়ত ৫ বছর লাগছে, সেখানেই ৩ বছরের একটা দেরি হচ্ছে, সেখানে অন্য অন্য দেশগুলো কিন্তু সেই সুযোগটা নিয়ে নিচ্ছে। সম্পাদনায়: কায়কোবাদ মিলন ও রাশিদ