২৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে হচ্ছে নতুন রেল সেতু
জিয়ারুল হক : একশ বছরের পুরনো দেশের বৃহৎ রেলসেতু হার্ডিঞ্জ ব্রিজে ঝুঁকি এড়াতে নতুন রেলসেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জাগোনিউজ
রেলওয়ের একটি সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন হয়ে যাওয়ায় দেবে যাচ্ছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। বর্তমান রেলসেতুটি ঝুঁকিতে রয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে কম সময়ের মধ্যে নতুন একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ মনিরুজ্জামান মনির এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সেতু থেকে এক হাজার ফুট দূরে অনুরূপ নতুন একটি সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি নির্মাণ করতে প্রায় পাঁচ বছর সময় লাগবে। কারিগরি সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পরই রেলসেতু নির্মাণের মূল প্রকল্প নেয়া হবে। নতুন রেলসেতু নির্মাণের জন্য বিশদ নকশাসহ সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে।’
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে। এতে এরপর পৃষ্ঠা ৭, সারি
(শেষ পৃষ্ঠার পর) ১৮০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ দেবে এডিবি। পদ্মা নদীর ওপর উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের সংযোগ রক্ষাকারী এই রেলসেতুটি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী রেলওয়ে স্টেশনের কাছাকাছি অবস্থিত। সেতুটি পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলাকে সংযুক্ত করেছে। নতুন রেলসেতুর অবস্থান ও দৈর্ঘ একই হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হার্ডিঞ্জ ব্রিজের অনুরূপ নতুন রেলসেতু নির্মাণের জন্য সমীক্ষা প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। ‘টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্স (টিএ) ফর রেলওয়ে কানেকটিভিটি ইমপ্রæভমেন্ট প্রিপারেটরি ফ্যাসিলিটিটি (আরসিআইপিএফ)’ প্রজেক্টের আওতায় এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
রেল সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘হার্ডিঞ্জ ব্রিজের বয়স ১০০ বছর পেরিয়ে গেছে। বয়সের ভারে সেতুটি বসে যাচ্ছে। তাই দ্রæততম সময়ের মধ্যে নতুন রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। রেলসেতুটি নির্মাণের আগেই আমরা সম্ভাব্যতা যাচাই করবো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রেলপথে কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না। বর্তমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের দৈর্ঘ ১ হাজার ৭৯৮.৩২ মিটার। নতুন রেলসেতুর দৈর্ঘও একই হবে। এর ওপর দুটি ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হবে।’
হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ১৯০৯ সালে। নির্মাণ শেষে ১৯১৫ সালে ট্রেন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সেই হিসেবে এই সেতুর বয়স একশ বছর পেরিয়ে গেছে। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান