সাইদ রিপন: বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ লোক গ্রামে বাস করে। যেখানে চাহিদার তুলনায় কর্মসংস্থানের সুযোগ কম। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলের কাজের অভাব বেশি। যার ফলে এ অঞ্চলে বেকারত্ব এবং দারিদ্র্যের হার তুলনামূলক বেশি। এখানে বছরের বেশির ভাগ সময় কোনো কাজ থাকে না। যার ফলে উত্তরবঙ্গের ৭টি জেলার দরিদ্রতম উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার। এর ফলে ৭ জেলায় তুলনামূলক হারে বেকারত্বের হার কমেছে। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সমীক্ষায় এ বিষয়টি উঠে এসেছে।
বেকার যুবদের কর্মসংস্থান এবং আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ হয়েছে ২০১৬ সালের জুনে। ডিপিপির তথ্য অনুযায়ী ৬৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় এটি বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় ৪৬টি উপজেলায় মোট ৩৭ হাজার ৯৫০ জন যুবককে প্রশিক্ষণসহ ঋণ দেয়া হয়েছে। তাদের প্রায় ৯৫ জনই এখন সাবলম্বী। রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও নাটোরে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে প্রকল্পটির দুর্বল কিছু পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে, প্রয়োজন অনুযায়ী জনবল নিয়োগ করা হয়নি। অর্থ ছাড়েও বিলম্ব হয়েছে। তবে প্রশিক্ষণের ফলে প্রকল্প এলাকায় আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, নারীর ক্ষমতায়ন ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, দেশে বেকারের বেশিরভাগই লেখাপড়া জানা। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বুঝতে পেরেছি শুধু প্রশিক্ষণের অভাবে অনেকে বেকার হয়ে আছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছে তাদের অনেকেই আমাদের কাছ থেকে ঋণ না নিয়ে নিজেদের পুঁজিতে কর্মসংস্থান করেছে। এতে বোঝা যাচ্ছে দেশের যুব সমাজ যদি প্রশিক্ষণ পায় তাহলে বেকারত্বের হার কমে যাবে। সম্পাদনা : রমাপ্রসাদ বাবু