কেএম নাহিদ : গভীর সমুদ্রে আবারও জেলেদের ট্রলার জলদস্যু বাহিনীর কবলে পড়ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন মাঝ সমুদ্রে হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা। এতে নতুন করে আবার জলদস্যু আতঙ্ক উপকূলের মৎস্যজীবীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। সমুদ্রে প্রশাসনের তৎপরতা বৃদ্ধির দাবি মৎস্যজীবী নেতাদের। সময় টিভি ১০:০০
স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানকে রেখে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রুহিতা গ্রামের মন্নান মাঝিকে ২৫ আগস্ট ট্রলারে ডাকাতি করার সময় পিটিয়ে সাগরে ফেলে দেয় জলদস্যুরা। অসহায় পরিবারটি তাদের কর্মক্ষম ব্যক্তিটির অপেক্ষায় এখনও পথ চেয়ে বসে আছে। সহায়তার আশায় ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে, কিন্তু মেলেনি কোনো সমাধান। শুধু মন্নান মাঝি নয়, একই ট্রলারের মিজান নামের আরেকজনকেও সমুদ্রে ফেলে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে দেয় তারা। এ সময় ট্রলারের রসদ, মাছ ও টাকা ছিনিয়ে নেয় জলদস্যুরা। বিকল হওয়া ট্রলারের ৮ জন জেলে সমুদ্রে ৮ দিন ভেসে থাকার পরে অন্য জেলেদের ট্রলার উদ্ধার করে তাদের। নসএ ঘটনার পর উপকূল জুড়ে জেলেদের মধ্যে নতুন করে জলদস্যু আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি কোস্টগার্ড।
বাংলাদেশ ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস দেয়া হলেও আমরা এখনও পর্যন্ত র্যাব ক্যাম্প পাইনি। র্যাব ক্যাম্প স্থাপন করলে এখানে জলদস্যুদের আসার সম্ভাবনা কমে যাবে। প্রসঙ্গত, সুন্দরবনে র্যাবের একের পর এক অভিযানে জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের পর গত বছরের নভেম্বর সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন ও রাশিদ