হ্যাপি আক্তার : আগামী বছর বিনামূল্যে বিতরণের জন্য সাড়ে ৩৫ কোটি বই ছাপাচ্ছে সরকার। এরইমধ্যে বই ছাপানোর কাজ শুরু হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যেই দেশের সব প্রান্তে বই পৌঁছানোর কথা। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ৮:০০
এদিকে বেশ কিছু কালো তালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠানকে বই ছাপানোর কাজ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মুদ্রণ মালিক সমিতির। তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন, বলছে জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবি।
২০১০ সাল থেকে বছরের প্রথম দিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই দিচ্ছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় এবার প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ কোটি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের জন্য সাড়ে ২৫ কোটি বই ছাপাচ্ছে এনসিটিবি। এতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৪শ কোটি টাকা।
এবার দুইশোর বেশি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান বই ছাপানোর কাজ করছে। অন্যান্য সময়ের চেয়ে কাজের জটিলতা এবার কম থাকলেও বেশ কিছু কালো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার অভিযোগ মুদ্রণ মালিক সমিতির।
মুদ্রণ মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, কালো তালিকাভূক্ত এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা বেধে দেয়ার সময়ের মধ্যে বই দিতে পারে না। তারপরও তাদের কাজ দেয়া হয়েছে।
জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, প্রাক প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল পাঠ্যপুস্তক ছাপানের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই কিছু কিছু জায়গায় বই পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যাদের আমরা কালো তালিকাভূক্ত করি তাদেরকে কখনোই কাজ দেই না। তবে, চুক্তি অনুযায়ী ১-২ বছর পার হয়েগেলে সেগুলো খতিয়ে দেখে কাজ দেয়া হয়।
এবার পাঠ্যবইয়ে তেমন কোনো পরিবর্তন আসছে না বলেও জানিয়েছে এনসিটিবি। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন