সাভার ও খুলনায় ২ নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
এম এ হালিম ও শরীফা খাতুন : সাভারে নারী পোশাক শ্রমিককে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত চার ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার জাফরগঞ্জ গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে শাওন ওরফে মেম্বার (১৭), নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানাধীন কুতুবপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে মো. সুমন (৩২), শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানাধীন বড়িরহাট গ্রামের সেলিম ফরাজির ছেলে ইলিয়াস ফরাজী (১৮) এবং নওগাঁ জেলার পতিœতলা থানা এলাকার গবরচাপা মৃামের মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে মো. আরিফ (৩০)। পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই নারী শ্রমিক পৌর এলাকার নামাগেন্ডা মহল্লার নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থেকে পাশর্^বর্তী উলাইল এলাকায় আল মুসলিম গার্মেন্টস এ অপারেটরের কাজ করতেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় কারখানা ছুটির পর আলামিন নামের এক বন্ধুর সঙ্গে নামা গেন্ডা মহল্লার নিজ ভাড়া বাসায় যাচ্ছিলেন। এসময় নামা গেন্ডা এলাকার শাওন, ইলিয়াস, আরিফ ও সুমন নামের চার বখাটে তাদের গতিরোধ করে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে তারা আলামিনকে ভয়ভীতি ও মারধর করে আটকে রেখে ওই নারী শ্রমিককে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।
সাভার মডেল থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, অভিযুক্ত ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানোর পাশাপাশি ভুক্তভোগী নারী শ্রমিককে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
খুলনার দাকোপে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৯ বছর বয়সী এক গৃহবধূ। শুক্রবার সকালে উপজেলার নলিয়ান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধুর শাশুড়ি বলেন, তার ছেলে একটি মামলায় বর্তমানে জেলে আছেন। তিনি ও তার স্বামী ছেলের জামিনের কথা বলতে বাইরে গিয়েছিলেন। এ সময় তার পুত্রবধূ একাই বাড়িতে ছিল। এ সময় প্রতিবেশী ইবাদুল গাজীর দুই ছেলে শরীফুল গাজী (৩০) এবং সাইফুল (২২) ও তাদের এক বন্ধু আবির শিকদার ওই গৃহবধূর স্বামীকে জেল থেকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করবেন, এজন্য তার সঙ্গে কথা বলতে এসেছেন-এ কথা বলে তারা ঘরে প্রবেশ করেন। ৎপরে তারা ধারালো দায়ের ভয় দেখিয়ে মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় গৃহবধূর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যান।
দাকোপ থানার ওসি মো. শফিক বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত এমন কোনো খবর পাইনি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান