বালিশ-পর্দা ‘ছিঁচকে’ কা-, হাওয়া ভবনের মতো লুটপাট নয়, বললেন কাদের
ফাতেমা আহমেদ : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বালিশ কা-ের পর এবার আলোচনায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পর্দা ক্রয়ে দুর্নীতির বিষয়কে ‘ছিঁচকে’ আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এ ধরনের ছিঁচকে কাজ যারা করেন তারা নিশ্চয়ই কোনো এমপি বা মন্ত্রী নন। এটা হাওয়া ভবনের মতো লুটপাটের বিষয় নয়। দেশটাকে লুটপাট করে খেয়েছে হাওয়া ভবন।’ জাগোনিউজ, সারাবাংলা
শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হাওয়া ভবন ছিলো তখন খাওয়া ভবন। আমাদের সময়ে লুটপাটের জন্য কোনো ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র তৈরি হয়নি। এটা আমি দাবির সঙ্গে বলতে পারি। বালিশ আর পর্দাকে হাওয়া ভবনের সঙ্গে মেলানো যাবে না।’
এ সময় জাতীয় পার্টিতে চলমান সংকট নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা ঐকমত্যের সরকার নয়। জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে আছে এবং বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে। তাদের ওখানে কী হলো সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রী কেনো এ বিষয়টি দেখবেন। আমরা চাই, বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ থাকুক, শক্তিশালী থাকুক। তাহলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে তাদের নিজেদেরই কাজ করতে হবে, এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’
রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে পুলিশের ওপর বোমা হামলার বিষয়ে কাদের বলেন, ‘জঙ্গি তৎপরতা একেবারেই থেমে গেছে এমন দাবি আমরা কখনোই করিনি। জঙ্গিবাদ আছে, এটা বৈশ্বিক সমস্যা। বাংলাদেশ বিশ্ব থেকে আলাদা নয়। পুলিশ ফাঁড়িতে, খেজুরবাগানে, মালিবাগ-গুলিস্তানে যে বিক্ষিপ্ত ঘটনাগুলো ঘটছে এগুলো হয়তো টেস্ট কেস হিসেবে করছে। ঘটনাগুলো ঘটছে রিমোট কন্ট্রোলে। কাজেই বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা করাই যায়।
উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও মদদদাতা দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে শোকজ করা হচ্ছে। এই তালিকায় কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা থাকবেন। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান