কেএম নাহিদ : কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গড়ে উঠেছে শত শত মোবাইল ফোন, সিম, কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং ভিডিও আদান-প্রদানের দোকান। সাধারণ দোকানগুলোতে এসব পণ্য বিক্রি করতে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ মানতে হলেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে তার কোনো তদারকি নেই। আর এ সুযোগেই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্রমশ বেপরোয়া হয়ে উঠছে রোহিঙ্গারা। ক্যাম্পগুলোতে অবাধে সিম, মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটার/ল্যাপটপ বিক্রি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসাবেই দেখছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। সময় টিভি ১১:০০
নিরাপত্তা বিশ্লেষক লে. কর্ণেল ফোরকান আহমদ বলেন, ‘ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের এসব কর্মকান্ড জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’ তিনি বলেন, ‘তারা তো এখানের মানুষ না, তারা কেনো এখানে এইগুলো ব্যবহার করবে। আমিন কি অন্য কোন দেশে গিয়ে যা-তা করতে পারবো? ওরা তো এখন এটা শুরু করে দিয়েছে। সুতরাং এটা অবশ্যই হুমকি স্বরূপ, এটা আমাদের বন্ধ করা উচিত।’
জেলা পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৪ টি ক্যাম্পে বসবাস করছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। যাদের মধ্যে ব্যবহার হচ্ছে ৫ লাখের বেশি বাংলাদেশি মোবাইল অপারেটরের সিম। নানা ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করে গত ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত সমাবেশের ভিডিও আদান-প্রদান করছে রোহিঙ্গারা। অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই রোহিঙ্গারা স্মার্ট এবং অ্যানড্রোয়েড ফোন ব্যবহার করে ভিডিও আদান-প্রদান করে আসছে।
ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির একাধিক টাওয়ার যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে শত শত কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এবং সিম বিক্রির দোকান। গত কয়েদিন ধরে ইন্টারনেট সংযোগের দোকানও খুলে বসেছে রোহিঙ্গারা। তবে সাংবাদিদের দেখে অনেক দোকান তড়িঘড়ি করে বন্ধ করে দেয়া হয়।
এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘আমাদের রোহিঙ্গা ‘আর ভিশন’ চ্যানেল আছে। আজমির নামে একজন মালয়েশিয়া থেকে সম্প্রচার করে।’
স্থানীয়রা বলেন, ‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সরকারে বিরুদ্ধে অনেক ধরনের লেখা লেখে, যেমন- এদেশ আমাদের, এদেশ আমরা চাই। এদেশ আমরা স্বাধীন করবো। আরেকজন বলেন, ফেসবুক টুইটার এগুলো দিয়ে ওরা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
রোহিঙ্গাদের কাছে স্মার্টফোন ও সিম বিক্রির নেপথ্যে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের এজেন্ট ও ডিলারদের দায়ী করলেন উখিয়ার কুতুপালং বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অপারেটররা, স্থানীয় ডিলাররা জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজ্রিস্টেশন করে বিক্রি করছে।’ সম্পাদনায়: কায়কোবাদ মিলন ও রাশিদ