রাজধানীতে ট্রাফিক সার্জেন্টদের নামে চলছে সিএনজি অটোরিকশা
ইসমাঈল ইমু : রাজধানীতে অনুমোদনহীন, বাতিল ও একই নম্বরের একাধিক সিএনজি অটোরিকশা চলছে ট্রাফিক সার্জেন্টদের নামে এমন অভিযোগ পওয়া গেছে। অটোরিকশাগুলোতে মালিক দাবি করা সার্জেন্টের মোবাইল নম্বরও রয়েছে। তবে এসব সিএনজি অটোরিক্সার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। জানা গেছে, ট্রাফিক সার্জেন্টের নামে অনেকগুলো সিএনজি অটোরিকশা চলে। এগুলোর মধ্যে একটির মালিক হয়তো তিনি। আর বাকিগুলো রাজধানীর বাইরের, চোরাই, স্ক্র্যাপ করা (বাতিল) ও একই নম্বরের। আবার কখনো নিজেদের ইচ্ছেমতো নম্বর লাগিয়েও চালানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডিজিটাল নম্বর প্লেট নকল করে একই নম্বর লাগিয়ে অটোরিক্সা বিভিন্ন রুটে চালানো হচ্ছে। একই নম্বর প্লেট হওয়ায় প্রকৃত দামের চেয়ে অর্ধেক দামে বিক্রি করা হচ্ছে সার্জেন্টদের কাছে। নকল নম্বর প্লেট ও অটোরিকশা তৈরির একটি সিন্ডিকেট রয়েছে রাজধানীতে। ঢাকা-থ সিরিজের অটোরিক্সা ঢাকা মহানগরে চলাচলের অনুমতি নেই। এ সিরিজের নম্বরগুলো বেশি নকল হচ্ছে। অটোরিকশাগুলো ২০১৮ সালে প্রতিস্থাপন করা হয়।
একধিক চালক জানান, রাস্তায় অটোরিকশা বের করলে নানা অযুহাতে তাদের মামলা জরিমানা দিয়ে নাজেহাল করেন সার্জেন্টরা। একপর্যায়ে তারা অটোরিকশা চালাতে অনীহা প্রকাশ করেন। তখন সার্জেন্টরাই ওই চালককে প্রস্তাব দেন তাদের গাড়ি চালাতে। এতে কোনো মামলা বা জরিমানা হবে না। বাধ্য হয়ে রাজধানীর অনেক চালক সার্জেন্টদের অটোরিকশা চালাচ্ছেন। যেসব রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসে সেখানে দায়িত্বরত সার্জেন্ট আগে থেকেই তাদের নির্দিষ্ট অটোরিকশাকে এসব রাস্তা ব্যবহার করতে নিষেধ করেন।
পুরনো গাড়ি মেরামত করে সার্জেন্টদের কাছে বিক্রি করে দালালরা। এরা হলেন, মোহাম্মদপুরের সেলিম, কাশেম, নাছিম, সাকিল, শাহীন, কালু ও কালু ফাতরা। এছাড়া মিরপুর কালশী রোডের জনি ও রেজোয়ান। মাজার রোডে রানা, হারুন ও ফরিদ। মগবাজার এলাকায় ইমরান খন্দকার ও নান্টু। যাত্রাবাড়ীর জুরাইন এলাকায় আলামিন ও শাহীন।
রাজধানীর বেশ কজন সার্জেন্টের নামে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাদের প্রত্যেকের নামে ১০ থেকে ১৫টি সিএনজি অটোরিকশা চলছে। তারা হলেন সুমন, সাদ্দাম, মোকারম, ছামছুর, মোস্তফা, আলামিন, মালেক, রেজাউল, কিশোর, জনি, মেহেদি, মাওলা, রাছেল, সুকুমার, মোমিন, আহাদ, জাহিরুল, অজুদ, সাইফুল, ওয়ারলেস অপরেটর মালেক।
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, ‘ঢাকা মেট্রো-দ’ সিরিজের নম্বর প্লেট ব্যবহার করে প্রাইভেট হিসেবে রাস্তায় চলছে এগুলোর মধ্যে ১১-০২১০, ১১-০১৫০, ১১-০২৩৯, ১১-০১৮৬, ১১-০১১২, ১১-০৪০১, ১১-০৪০২ থেকে ৬ পর্যন্ত সিরিয়ালের কোনো অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন নেই। এরপরও সার্জেন্টদের নামে চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে ধানমন্ডি ট্রাফিক জোনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার মো. আকরাম হোসেন বলেন, সিএনজি অটোরিকশা চালকরা মামলা থেকে বাঁচতে এভাবে সার্জেন্টদের নাম ব্যবহার করে। বিশেষ করে প্রাইভেট হিসেবে চলা অটোরিকশা। একজনের নামে একাধিক অটোরিকশা চলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান