কম মূল্যের পোশাক রপ্তানি করায় প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে বাংলাদেশ; অভিমত সংশ্লিষ্টদের
কেএম নাহিদ : এজন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং আরএনডির অভাবকেই দায়ী করছেন তারা। পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনীর শেষ দিনে এমন মত তাদের। এবারের প্রদর্শনীতে আশানুরূপ রপ্তানি আদেশ পেয়েছেন বলে জানান এ খাতের উদ্যোক্তারা। সময় টিভি ১২:০০
২৫ টি দেশের ১৫০০ প্রতিষ্ঠানের ১৬০০ স্টল। পোশাক খাতের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি আর তৈরি পণ্য নিয়ে এমন আয়োজন বিশ্বে হাতে গোনা কয়েকটি। প্রায় চার দশকের ধারাবাহিকতায় এমন আয়োজন সেমস গ্লোবালের।
তারা জানায়, ‘এখানে আরো বেশি ডিমান্ড ছিলো। স্থান স্বল্পতার কারণে আমরা বেশি স্টল দিতে পারিনি। প্রদর্শনীতে প্রায় ১৩০০ স্টলই দেখা যায় রপ্তানির অগ্রপথিক চানী কোম্পানির। আছে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, আর প্রতিবেশী দেশ ভারত চীনাতো আছে।’
এক নারী উদ্যোক্তা জানান, ‘বাংলাদেশে মার্কেট দিন দিন বেড়ে চলেছে। সে সাথে পোশাক খাতে বাংলাদেশ দিনদিনই উন্নতি করছে। তাই আমাদের কোম্পানিগুলোও এখানে সম্প্রসারণের চিন্তা করছি।’
হাতেগোনা ৩০ থেকে ৩৫ টি স্টলে দেখা যায় বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদেও উল্লেখ্য উন্নত বিশ্ব যেখানে ফেন্সি আর উচ্চমূল্যের পণ্য তৈরিতে ব্যস্ত।
বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র জানান, ‘চানী আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে। ভিন্নতার দিক থেকে সবার ওপরে তারা। তার পণ্যের ভেরিয়েশনের দিকে বেশি মনোযোগী হচ্ছে।’
বাংলাদেশের এক কোম্পানির কর্ম কর্তা জানান, ‘এই মেলার মাধ্যমে ৫০ হাজার ডলারের একটি অর্ডার পেয়েছি। আর এখানে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রডাক্টগুলো শো করতে পারছি। পোশাক খাতের এমন বড় আয়োজনের দেখা মিলবে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে।’ সম্পাদনায়: কায়কোবাদ মিলন ও রাশিদ