জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধিতে জরুরি বিনিয়োগে ৭ লাখ কোটি ডলারের মুনাফা
নূর মাজিদ : বিল গেটস এবং জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের নিয়ে গঠিত একটি বৈশ্বিক কমিশন এই তথ্য জানিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার লক্ষ্যে গঠিত গে¬াবাল কমিশন অন এডাপশন বলছে, এখনই বিশ্বের প্রভাবশালী সকল রাজনৈতিক নেতৃত্বকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা উন্নত দেশগুলো থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় উন্নয়নশীল এবং স্বল্পোন্নত পুঁজি প্রবাহের মাত্রা বাড়াবে। উন্নত দেশগুলো এবং দাতা সংস্থাগুলো যদি মাত্র ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলার জরুরীভিত্তিতে বিনিয়োগ করে, তার বাণিজ্যিক সম্ভাবনাও খুব উজ্জ্বল। আলোচিত পরিমাণ জরুরী বিনিয়োগের মাধ্যমে তারা প্রায় তিনগুণ বা সাড়ে ৭ লাখ কোটি ডলার মুনাফা করতে পারবে। খবর : এমএসএন নিউজ
কমিশনটির ৮১ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে মূলত জলবায়ু সহনশীলতা তৈরির ৫টি বিশেষ খাতে জরুরি বিনিয়োগের আবশ্যকতা তুলে ধরে। এই পাঁচটি খাত হলো দুর্যোগপূর্ব সতর্কতা ব্যবস্থা নির্মাণ, জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল অবকাঠামো, পানিস¤পদ ব্যবস্থাপনা, শুস্ক অঞ্চলের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং উপকূলীয় এলাকায় শ্বাসমূলীয় বনভূমি তৈরি এবং বিদ্যমান বনের সংরক্ষণ।
আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ক্লাইমেট একশন সামিটকে সামনে রেখে এই কমিশনকে বিশ্বের কাছে জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব মোকাবেলার গুরুত্ব তুলে ধরার দায়িত্ব দেয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতা আলোচিত প্রতিবেদন।
এখানে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য এবং নেদারল্যান্ডে নেয়া জলবায়ু মোকাবেলায় পদক্ষেপসমূহ স্থান করে নিয়েছে। এসব দেশের সফল প্রকল্পগুলোর বরাতে কমিশনটি মানব জীবন এবং স¤পদের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এসব পদক্ষেপকে আদর্শ এবং অনুকরণীয় বলেও উলে¬খ করে।
প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সাবেক মহাসচিব বান কি মুন বলেন, আমরা যদি এখনই বিনিয়োগ না করি, তাহলে পৃথিবীর এখন যা আছে এবং যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হারাবে, তার মাঝে ব্যাপক ব্যবধান তৈরি হবে। দুই দুটি বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বাংলাদেশের সক্ষমতাকে আদর্শ উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করে তিনি, এই ধরনের মডেল অনুসরণে দুর্যোগ সহনশীলতায় আরো বিনিয়োগের মাধ্যমে অনেক দেশ আসন্ন সংকটের ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে পারবে বলে জানান। সম্পাদনা : ইকবাল খান