পুঁজিবাজারে ৩১ বীমা কোম্পানী তালিকাভুক্ত না হলে সনদ বাতিলের হুঁশিয়ারি অর্থমন্ত্রীর
সাইদ রিপন : বীমা কোম্পানীগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সরকার একটা উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বীমা কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স দিয়ে থাকে। এজন্য লাইসেন্সধারী সব কোম্পানীকে আগামী তিন মাসের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে। যদি কোন কোম্পানী এই তিন মাসের মধ্যে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত না হয় তাহলে আমরা তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দিবো
গতকাল শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সব বীমা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় অর্থমন্ত্রী এসব বলেন। প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে জীবন ও সাধারণ বীমার ৭৮টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ৪৭টি কোম্পানি পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত। বাকি ৩১টি কোম্পানি এখনও তালিকাভুক্ত হয়নি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার একটা উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বীমা কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স দিয়ে থাকে। সরকারের উদ্দেশ্য পূরণ না হলে লাইসেন্স বাতিল হবে এটাই স্বাভাবিক। এছাড়া এক দেশে দুই রকমের আইন হতে পারে না। কেউ পুঁজিবাজারে থাকবে, আবার কেউ বাইরে থাকবে এটা আর হতে পারবে না। আগামী অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরের মধ্যেই বাইরে থাকা ৩১ কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলোকে চার ধাপে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। প্রথমে তাদের সাসপেন্ড করা হবে, এরপর সাময়িক সনদ বাতিল, মার্জার অ্যান্ড এমার্গেশন করা হবে এবং শেষ ধাপে স্থায়ীভাবে সনদ বাতিল করা হবে।
সভায় বীমা খাতের প্রধান প্রধান সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। সমস্যাগুলো হচ্ছে- বীমা পণ্যের স্বল্পতা, বীমা লিটারেসির ব্যবস্থা না থাকা, বীমা দাবি যথাসময়ে নিষ্পত্তি না করা, দেশে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ব্যতীত পুনঃবীমা প্রতিষ্ঠান না থাকা, বীমা কোম্পানিগুলোর কর্পোরেট গভর্ন্যান্সের অভাব, জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর একচ্যুয়ারির অভাব এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে অপর্যাপ্ততা।
এসময় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, আইডিআরএ এর চেয়্যারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী এবং বাংলাদেশ বীমা সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনসহ বিভিন্ন বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান, এমডি ও খাত সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : ইকবাল খান