মেট্রোরেলের জন্য আলাদা পুলিশ ইউনিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
ফাতেমা আহমেদ : মেট্রোরেলের নিরাপত্তার জন্য আলাদা পুলিশ ইউনিট গঠন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার গণভবনে মেট্রোরেল প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ে পর্যালোচনা সভায় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলানিউজ, বাংলা ট্রিবিউন
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা ভোগ করার জন্য নয়, মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়েই আমি কাজ করে যাচ্ছি। কতকগুলো লক্ষ্য স্থির করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, সেটা অর্জন করতে পারবো।’
সারা বিশ্বে মেট্রোরেলের জন্য আলাদা নিরাপত্তা ইউনিট থাকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মেট্রোরেলের নিরাপত্তার জন্য বিশেষায়িত আলাদা পুলিশ ইউনিট গঠন করতে হবে।’ মেট্রোরেলের জন্য আলাদা পুলিশ ইউনিট গঠনের কাজ এখন থেকে শুরু করতেও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সময় বেশি নেই, এখনই এ নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে।’
এসময় সভায় উপস্থিত জাতীয় নিরাপত্তা সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান মিয়াকে মেট্রোরেল পুলিশ ইউনিট গঠনের বিষয়টি দেখতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সভায় মেট্রোরেলের অগ্রগতি বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমএএন সিদ্দিক।
সভায় জানানো হয়, মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী পুরোদমে এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে এমআরটি (ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট) লাইন-৬ এর ৩০ দশমিক ৫ শতাংশ কাজের অগ্রগতি হয়েছে। আগামী ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মেট্রোরেল বাণিজ্যিক অপারেশনে যাবে বলেও জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলের প্রতিটি বিষয় মনোযোগ সহকারে প্রত্যক্ষ করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন। খুঁটিনাঁটি বিষয়গুলোতেও প্রয়োজনীয় সমাধান ও নির্দেশনা দেন তিনি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা কিছু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে নিয়ে যেতে চাই। ২১০০ সাল পর্যন্ত আমাদের পরিকল্পনা আছে। যেন বাংলাদেশের মানুষ উন্নত জীবন পায়, এ লক্ষ্যে আমরা দীর্ঘমেয়াদি এসব পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।’
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য শাহজাহান খান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, সড়ক পরিবহন ও হাইওয়ে বিভাগের সচিবও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসেন ভূইয়া, জাতীয় নিরাপত্তা সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশে জাইকার প্রধান প্রতিনিধি হিতোশি হিরাতার নেতৃত্বে জাইকার একটি প্রতিনিধিদলও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তারাও বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন সভায়।