রোহিঙ্গাদের সনদ দেয়া জনপ্রতিনিধিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে
কেএম নাহিদ : রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট এবং এনআইডি কার্ড নিতে সহযোগিতাকারী জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। সময় টিভি ১২:০০
এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে পাসপোর্ট নেয়ার প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। চিহ্নিত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেয়া হবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে। আর রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। আকবর শাহ থানায় আটক তিন রোহিঙ্গার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন করা দুই পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলেও জাতীয় সনদ প্রদানকারী জনপ্রতিনিধিরা রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। শুধু তাই নয়, ৭৩ রোহিঙ্গাকে এনআইডি সার্ভারে ঢুকতে সহযোগিতাকারী জনপ্রতিনিধিরাও এখনো শনাক্ত হয়নি। প্রত্যন্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিরা গণহারে জন্ম নিবন্ধনসহ নানা ধরনের সনদপত্র দেয়ায় বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং এনইআইডি উইংকে।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে যেটুকু সম্ভব সেটুকু আমরা দেখছি, রোহিঙ্গা কি না। কিন্তু কাগজপত্র থাকলে আমাদের জন্য একটু কঠিন হয়ে যায়।
চট্টগ্রাম সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুনীর হোসাইন খান বলেন, জনপ্রতিনিধিরা ব্যক্তিগতভাবে সবাইকে চেনে। তাদের পক্ষ থেকে যদি কোনো সার্টিফিকেট আসে আমরা গুরুত্ব দেই।
নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানায় পাসপোর্ট এবং এনআইডি কার্ডসহ রোহিঙ্গা আটকের মামলায় পুলিশি তদন্তে বের হয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার ফারুক উল হক বলেন, ‘যেখানে জালিয়াতি পাওয়া গেছে সেখানে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বলেন, কোনো জনপ্রতিনিধি রোহিঙ্গাদের সার্টিফিকেট দিলে তাদের শনাক্ত করে আসামি করা হবে।
সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন এবং জাতীয়তা সনদ দেয়া জনপ্রতিনিধিদের চিহ্নিত করার নির্দেশনা দিয়ে ইউনিটগুলোকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ হেড কোয়ার্টার।
পুলিশের অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে, রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে জায়গা কেনার পাশাপাশি বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিবাহ সূত্রে এনআইডি এবং পাসপোর্ট নেয়ার চেষ্টা করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন ও রাশিদ