অভিযোগ প্রমাণিত হলে জাবি ভিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, বললেন কাদের
ফাতেমা আহমেদ : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কথা জানান। বাংলা ট্রিবিউন, সময়টিভি অনলাইন
গোয়েন্দাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, ভবিষ্যতে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনে দলের ভেতরে শুদ্ধি অভিযান চালানো হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ছাত্রলীগের অপকর্ম নজিরবিহীন উল্লেখ করে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে আবারও হুঁশিয়ার করেন সেতুমন্ত্রী। কাদের বলেন, ‘ছাত্রলীগের বিষয়টা একটি নজিরবিহীন ঘটনা ঘটলো, ইতিহাসে যা ঘটেনি। গোয়ন্দা সংস্থাগুলোকে বলা হয়েছে রিপোর্ট নেয়ার জন্য, কোথাও কোনো অপকর্ম হলে যথাযথ তথ্য দিতে। দলের যত শক্তিশালীই হোক এ ব্যাপরে কাউকেই যেন ছাড় না দেয়া হয়। অপকর্ম করলে সবাইকে শাস্তি পেতে হবে।’
কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠা জাবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবির বিষয়টিকে সরকার কীভাবে দেখছে- জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ কী কারণে, নৈতিকস্খলন, সেটা যদি তদন্ত করে প্রমাণ হয়, তিনিও কোনো আইনের ঊর্ধ্বে নন। তিনি যদি কোনো অন্যায় করে থাকেন, এখানে যদি তার কোনো অপকর্মের সংশ্লিষ্টতা থাকে, তদন্তে যদি এটা প্রমাণিত হয়, তবে অবশ্যই তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) দায়িত্ব দেয়া হবে। এ জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে ‘(জাবি) শাখা ছাত্রলীগকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়েছে’ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর এমন বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
কমিশন বাণিজ্যের অপরাধে ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে পদত্যাগ করতে হয়েছে। একই অভিযোগে উঠেছে জাবির উপাচার্যের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন।