‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কারে ভূষিত শেখ হাসিনা
জিয়ারুল হক : বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যাপক সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কার দিয়েছে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন এবং ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)। এই পুরস্কার গ্রহণের পর গণমাধ্যমে জানানো প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কার দেশবাসীর প্রতি উৎসর্গ করেছেন। জাগো নিউজ, বাংলা ট্রিবিউন
নিউ ইয়র্কে স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘ইমিউনাইজেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের স্বীকৃতি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন জিএভিআই বোর্ড সভাপতি ড. এনগোজি অকোনজো ইবিলা এবং সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেথ ফ্রাংকলিন বার্ক্লে।
ড. এনগোজি অকোনজো তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার প্রশংসা করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য আটদিনের সফরে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ইউএনজিএ ৭৪তম বার্ষিক অধিবেশনে তিনি ভাষণ দেবেন।
এদিকে সার্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচি (ইউএইচসি) অর্জনে অভিন্ন লক্ষ্যের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে সহযোগিতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা সার্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচি (ইউএইচসি) অর্জনের অভিন্ন লক্ষ্যের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার ভিত্তি।’
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। তিনি জাতিসংঘ সদরদপ্তরের ইকোসোক চেম্বারে সার্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচি (ইউএইচসি)’র ওপর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি ‘মাল্টি স্টেকহোল্ডার প্যানেল’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের সহ-সভাপতিত্ব করছিলেন। এসময় স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সাঞ্চেজও ‘ইউএইচসি সমতা, অংশীদারিত্বমূলক উন্নয়ন ও সবার জন্য সমৃদ্ধির চালিকাশক্তি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সহ-সভাপতিত্ব করেন।
২০৩০ সালের মধ্যে ইউএইচসি ও এসডিজি অর্জনে প্রতিটি দেশের জন্য স্বাস্থ্যসেবা অর্থায়ন কৌশল প্রণয়নে কার্যকর বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচকদের মধ্যে ছিলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিজ মিশেল বাশেলে, ম্যালেরিয়া নির্মূলে আরবিএম অংশীদারিত্ব বিষয়ক বোর্ডের সভাপতি মিজ মাহা তাইসির বারাকাত, অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক মিজ উইনি বায়ানিমা ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক জেফেরি সাখস।
রোববার বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। আবুধাবিতে একদিনের যাত্রাবিরতির পর প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইটটি রোববার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে আবুধাবি থেকে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করে।
এর আগে শুক্রবার বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে আবুধাবির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান