আক্তারুজ্জামান : গত সোমবার মধ্যরাতের পর বার্ষিক এ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফিফা। ইতালির মিলানে অপেরা হাউজ লা স্কালায় রোনালদো ও ভ্যান ডাইককে পেছনে ফেলে চার বছর পর এ মুকুট মাথায় তুললেন মেসি। এ নিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠবারের বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন মেসি। মেয়েদের বিভাগে বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেগান রাপিনো। নারী বিশ্বকাপে তার দেশকে শিরোপা জেতানোর মূল কারিগর ছিলেন রাপিনো। ব্রাজিলের হয়ে কোপা আমেরিকা জেতানো এবং লিভারপুলকে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন বানানোর নায়ক ছিলেন এলিসন বেকার। শুধু তাই নয় ইউরোপের সেরা টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাও ঘরে তুলেছিলো অলরেডসরা। যার মূল কারিগর ছিলেন এই এলিসন। তাই বর্ষসেরা গোলরক্ষক বাছাই করতে নির্বাচকদের কোনো কষ্টই করতে হয়নি।
গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫১ ম্যাচ খেলে মেসি গোল করেন ৫০টি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ১২ গোল নিয়ে গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন তিনি। ক্লাবের হয়ে জেতেন লিগ শিরোপা। কোপা আমেরিকায় তার দল আর্জেন্টিনা দখল করে তৃতীয় স্থান।
ফিফার বর্ষসেরার তালিকাতে ছিলো আরও কিছু সংযোজন। বছরের সেরা কোচ হয়েছেন লিভারপুলের ইয়ুর্গেন ক্লপ। এরপর বর্ষসেরা একাদশও বাছাই করেছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংগঠনটি। অবাক করা বিষয় হলো এই একাদশে জায়গা পাননি নেইমার ও মোহাম্মদ সালাহ।
সর্বশেষ পুরস্কার ছিলো বর্ষসেরা ফুটবল ভক্ত। যে পুরস্কারটি তুলে নিয়েছেন অন্ধ ছেলেকে ধারাভাষ্য আকারে ফুটবল ম্যাচের বর্ণনা শোনানো সেই আলোচিত মা। যাকে নিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় নানান আলোচনা হয়েছে। ব্রাজিলের সিলভিয়া গ্রোসিয়া ও তার ছেলে পুরস্কার নিতে এসেছিলেন মঞ্চে। সম্পাদনা : রাকিব উদ্দীন