দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হবে, জানালো এডিবি
মো. আখতারুজ্জামান : চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির এ পূর্বাভাস দিয়েছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। শিল্পখাতের উন্নয়নের ফলে এ প্রবৃদ্ধি হবে। এমন তথ্য উঠে এসেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০১৯-এর আপডেট প্রতিবেদনে।
বুধবার রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরের এডিবির কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী ও এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ঊর্ধ্বমূখী রয়েছে। চলতি অর্থবছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ দশমিক ২ শতাংশ, যা গত এপ্রিল মাসে প্রকাশিত মূল এশিয়ান ডেভলপমেন্ট আউট লুকে বলা হয়েছিলো ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়া পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৪ শতাংশ, যা মূল প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। আর বাংলাদেশের মূল প্রতিবেদনের পূর্বাভাসেও বলা হয়েছিল এবছর প্রবৃদ্ধি হবে ৮ শতাংশ, যা হালনাগাদ প্রতিবেদনে একই রয়েছে।
অনুষ্ঠানে মনমোহন প্রকাশ বলেন, আমরা মনে করছি শিল্পখাতের উন্নয়নের ফলে এ প্রবৃদ্ধি হবে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস সেক্টরে পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ১০ শতাংশের উপরে জিডিপি অর্জন করেছে। এছাড়া এখানকার অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়নের ফলে এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশে ব্যাপক পরিমাণে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। এ জন্য দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর জিডিপি অর্জনে নিচের দিকে থাকলেও সব সেক্টরে ভালো করায় বাংলাদেশের অবস্থান উপরের দিকে আছে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অগ্রগামী। রেমিট্যান্স প্রবাহ, সহজ মুদ্রানীতি, বেসরকারি বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে সংস্কার কার্যক্রম, অবকাঠামো খাতে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ার কারণে প্রবৃদ্ধি বাড়বে। বাংলাদেশের মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে রপ্তানি বহুমুখীকরণ, শহর ও গ্রামের মধ্যে বৈষম্য দুর করা, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা উল্লেখযোগ্য। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক ও বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের রফতানি বাড়বে। এর পাশাপাশি উচ্চতর প্রবাসী আয়ের কারণে বাড়বে ভোগ ব্যয়। একইসঙ্গে সহজ মুদ্রানীতির কারণে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহও বাড়বে। ব্যবসায় পরিবেশ উন্নত করতে চলমান সংস্কার এবং অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের সুবাদেও বাড়বে প্রবৃদ্ধি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তবে এজন্য অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে। সে ক্ষেত্রে রাস্তা, বন্দর এবং পদ্মা সেতুসহ বড় প্রকল্পগুলো এবং ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেগুলো যথাসময়ে শেষ করতে হবে। সেই সঙ্গে দক্ষ জনশক্তি তৈরি, আর্থিক খাতের উন্নয়ন ও ব্যবসার পরিবেশ সহজ করতে হবে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব