শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মজবুত অর্থনীতির ওপর দাঁড়িয়েছে দেশ, বলছেন অর্থনীতিবিদরা
হ্যাপি আক্তার : চারবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, তার নেতৃত্বেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রয়েছে ৬ শতাংশেরও ওপরে। বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভসহ সামাজিক নানা সূচকেও অবস্থান ঊর্ধ্বমূখী। ইনডিপেনডেন্ট টিভি ১১:০০
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে হত্যা করা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তারপর প্রায় ৬ বছর নির্বাসনে ছিলেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ১৯৮১ সালে বিদেশে থাকার সময়েব আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। দেশে ফেরেন সে বছরের ১৭ মে।
নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন আওয়ামী লীগকে। একানব্বইয়ে হন বিরোধী দলীয় নেতা। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বেই ২১ বছর পর আবারও সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়ে প্রথমবারের মতো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেন দেশকে।
অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ বলেন, কৃষিতে ভর্তুকি না থাকলেও ১৯৯৬ সালে তা চালু করেন শেখ হাসিনা। নানা আপত্তি উপেক্ষা তিনি তা চালু করেছিলেন।
তার জীবনের ওপরও আঘাতও এসেছে বহুবার। সেসব উপেক্ষা করেই পিতার স্বপ্ন সত্যি করতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। নানা চক্রান্তের পরও শুরু করেন একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার।
তার নেতৃত্বেই ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। বলিষ্ঠ নেতৃত্বে, দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিকেও টেনে তুলেছেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বিচক্ষণ নেতৃত্বেই প্রবৃদ্ধি অর্জনে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে এখন বাংলাদেশ, বলছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান। তিনি বলেন, বর্তমানে অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি পেয়েছে তিনগুণেরও বেশি।
২০১৮ সালে সরকার গঠনের পরপরই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা সামনে আনেন শেখ হাসিনা। অর্থনীতিবীদরা বলছেন এ চ্যালেঞ্জে সফল হলে আরো মজবুত হবে দেশের অর্থনীতির ভিত। সম্পাদনা : রাশিদ