আর্থিক খাতের তথ্য সংরক্ষণে নিরাপদ পদ্ধতি হিসেবে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, বললেন অর্থমন্ত্রী
সাইদ রিপন : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, অবিশ্বাস্য গতিতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জন হচ্ছে। প্রযুক্তির সাথে আমাদের সব সেক্টরগুলোকে সমানতালে চলতে হবে। ভবিষ্যতে জিডিপির এ অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে। এজন্য প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় রক্ষায় আর্থিক খাত, পুঁজিবাজার, স্বাস্থ্য-সেবা খাতের তথ্য সংরক্ষণে নিরাপদ পদ্ধতি হিসেবে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন হার্নেসিং ব্লকচেন টেকনোলজি ফর ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। দুইদিনব্যাপী এ কনফারেন্সের আয়োজন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন যেসব মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ চলছে এগুলোর কাজ শেষ হলে প্রবৃদ্ধি আরো বাড়বে। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের শীর্ষে রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই আমরা ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করবো। এছাড়া পদ্মাসেতু চালু হলে আরো ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়বে। তখন প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটে চলে যাবে।
তিনি বলেন, ২০৩০ সালে প্রত্যেক পরিবারে একটা করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। একই বছরে টেলিস্কোপ দিয়ে দেশের কোথাও দারিদ্র্য খুঁজে পাওয়া যাবে না। একই সঙ্গে ‘ঘর নেই’ এমন লোক থাকবে না। মূলত জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে আমাদের প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহারের ঘাটতি রয়েছে। এজন্য উদ্ভাবন ও নতুন নতুন প্রযুক্তিতে গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা ইতিমধ্যেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলে এসেছি। এই সময়ে রোবটিকস, আর্টিফিয়াল ইনটেলিজেন্স বায়োটেকনোলজি, ন্যানো টেকনোলজি ভূমিকা রাখবে। যেখানে ব্লকচেইন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে কিছু ক্ষেত্রে হয়তবা চাকুরি কমে যাবে। আবার নতুন নতুন চাকুরির সুযোগ তৈরি হবে, মানবসম্পদ সমৃদ্ধ হবে। শিল্প খাতে দ্রুত উন্নতি আনতে হবে, জনমিতির সুবিধা নিতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীকেও বিত্ত বৈভবে আকর্ষণ করে না। দেশের মানুষের ভালবাসা তাকে আকৃষ্ট করে। তিনি সাধারণ মানুষের উন্নতিতে কাজ করে চলেছেন।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, সম্প্রতি এডিবির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অগ্রগামী। বাংলাদেশের জিডিপি (২০১৯-২০ অর্থবছর) প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হবে। বৈশ্বিকভাবে ব্লকচেইন বেশ কার্যকর প্রযুক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশে এটি কার্যকর করলে সবল ক্ষেত্রেই কার্যকর সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং পরিচালন খরচ কমিয়ে আনতে পারবে। এ প্রযুক্তি আর্থিক খাত, পুঁজিবাজার, স্বাস্থ্য, সেবা খাতে বেশি সুবিধা দিবে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে একবার লেনদেন করলে কেউ সেটি ফেলতে পারবে না। ফলে কারসাজির সুযোগ থাকবে না। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান