উন্নয়ন প্রকল্পের বিচ্যুতি ও অপচয় কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার, বললেন অর্থমন্ত্রী
সাইদ রিপন : বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে দেশের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অপচয় হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, উন্নয়ন প্রকল্পের বিচ্যুতি ও অপচয় কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার। পদ্মাসেতু, মাটির নীচের টানেল ও মেট্রোরেলের মতো বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা আমাদের ছিলোনা। আমরা আস্তে আস্তে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছি। অভিজ্ঞায় পরিপূর্ণ হয়ে গেলে তখন প্রকল্পে অপচয় একেবারেই কমে আসবে। আমাদের দেশীয় ঠিকাদাররাও তাদের কাজে শক্তিশালী হচ্ছে। যেখানে দেশীয় ঠিকাদার কোম্পানিগুলো কাজ করতে না পারবে সেখানে বিদেশি ঠিকাদারদের দিয়ে কাজ করাবো এবং আমরা শিখবো।
গতকাল শেরেবাংলা নগরে মন্ত্রী নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী টানেল অথবা মেট্রোরেলের মতো মেগা প্রকল্পগুলো আমাদের স্বপ্ন, এগুলো এখন বাস্তবায়নের পথে। এগুলো বাস্তবায়ন হয়ে গেলে তখন আমাদের প্রবৃদ্ধি আরো অনেক বেড়ে যাবে। শুধু পদ্মাসেতু থেকেই এক শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়বে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা আমাদের জন্য অন্যতম গুরত্বপূর্ণ হুমকি। যদিও বাংলাদেশ জলবায়ু পরির্তনজনিত সমস্যার জন্য দায়ি নয়, কারণ আমরা কার্বন নিঃস্বরণ করি না। তবে আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারত, চীনসহ আরো কয়েকটি দেশ কার্বন নিঃস্বরন করে অথচ এর ভুক্তভোগী বাংলাদেশ। দেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে সরকার কাজ করছে। জ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমে সরকার জোড় দিচ্ছে। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তারা বিশ্বাস করে রোহিঙ্গাদের হোমল্যান্ড রাখাইন স্টেটেই তাদের চলে যেতে হবে। এই বিষয়ে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। সারা বিশ্বকে এক করে রোহিঙ্গা স্বদেশে ফিরে যেতে ইইউ কাজ করবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে অর্থনৈতিক খাতে উন্নতি করছে। চলতি অর্থবছরেই আমরা ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছি। যা ২০২৪ সালে ১০ শতাংশ দাঁড়াবে এবং সেটা অব্যাহত থাকবে। বিশ্বে যে কয়েকটি দেশের রপ্তানি আয় খুব দ্রুত বাড়ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব