সাইদ রিপন : বর্তমান সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে আর কোন দরিদ্র লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। সরকারের এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে দুটি পর্যায়ে ৫ লাখ পরিবারের ২০ লাখ অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে টেকসইভাবে উন্নয়ন করার উদ্যোগ নিচ্ছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। এজন্য ‘পাথওয়েস টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল (পিপিইপিপি) নামক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সংস্থাটি।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে প্রকল্পটির কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আর্থিক সহায়তায় প্রাথমিকভাবে ৬ বছর মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে প্রকল্পটি। পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএফআইডির বাংলাদেশের প্রধান জুডিথ হারবার্টসন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব কো-অর্ডিনেটর মরিজিও চিয়ান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুল ইসলাম বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ অনেক সাফল্যে পেয়েছে, কিন্তু এতে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। দারিদ্র্য বিমোচনে আরো গতি বাড়ানো উচিত। পিকেএসএফ এর এমডি মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, কেবল ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন হয় না। এজন্য পিকেএসএফ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো কর্মসূচিতে নিয়ে আসে। লাইভহুডস, নিউট্রিশন এবং কমিউনিটি মবিলাইজেশন এই ৩টি কম্পোনেন্টে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পিকেএসএফ। অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, প্রথম পর্যায়ের বাজেট ১০৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন পাউন্ড, ডিএফআইডি ৮০ মিলিয়ন পাউন্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন পাউন্ড দেবে।
প্রকল্পের আওতাভুক্ত কর্ম এলাকাগুলো হচ্ছে, দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের নদী বিধৌত চরাঞ্চল ও বন্যা কবলিত নদী তীরবর্তী এলাকা, দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের দুর্গম ও অতিবন্যাপ্রবণ হাওর এলাকা এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকা। প্রকল্পের কর্ম এলাকায় নির্বাচিত ইউনিয়নের বসবাসরত শতভাগ অতিদরিদ্র পরিবারকে সংগঠিত করে প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসাবে প্রকল্পের ইনসিফিশন ফেজ এ পিকেএসএফের ১০টি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ১০টি জেলার ১২টি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে পাইলটিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব