ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো শুরু হচ্ছে ১৪ অক্টোবর
শোভন দত্ত
আইসিটি শিল্পকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ যৌথভাবে ‘ডিজিটাল ডিভাইস এবং ইনোভেশন এক্সপো-২০১৯’ শীর্ষক প্রদর্শনীর আয়োজন করছে। পূর্বপশ্চিম ইভেন্টটিতে যৌথভাবে সমর্থন করবে আইসিটি বিভাগের; এটুআই প্রকল্প; শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজ); বাংলাদেশ সরকারের কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর (জিওবি) এবং বাংলাদেশ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল; বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য); ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি); বাংলাদেশ আইসিটি সাংবাদিক ফোরাম (বিআইআইএফ) এবং সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ।
এক্সপোটি আগামী ১৪-১৬ অক্টোবর ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত হবে।
‘মেইড ইন বাংলাদেশ : কোনো কিছুই অসম্ভব নয়’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে তিন দিনব্যাপী এই এক্সপো আইসিটি শিল্পসম্পর্কিত বিভিন্ন পণ্য এবং বিশ্ববাসীদের জন্য আইসিটি পরিষেবা একত্রে করে দেশের সাফল্যের গল্পগুলো প্রদর্শন করবে আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির সব ব্যবসায়ী।
স্থানীয় এবং বিদেশিদের মধ্যে বিপুলসংখ্যক বিনিয়োগকারী এক্সপোতে অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে তারা স্থানীয় উদ্ভাবনগুলো দেখবে এবং সেটি থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে, বিশেষ করে হার্ডওয়্যার পণ্যগুলো খাতটিতে নতুন করে বিনিয়োগ এবং রপ্তানি, এর মাধ্যমে এই সেক্টরে উভয়ের পথ প্রশস্ত করবে।
ইভেন্টের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের দশ বছরের সাফল্যগুলো বিভিন্ন সেমিনার এবং ব্রেকআউট সেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।
ওয়ালটন, স্যামসাং, সিম্ফনি, টেলিফোন শিল্প সংস্থা, টেকনো মোবাইল, ভিভো, এলজি, নিটল এবং আমরার মতো দেশের প্রায় সমস্ত বড়ো আইসিটি পণ্য ও পরিষেবা উৎপাদনকারী সংস্থা অংশ এক্সপোতে নেবে।
অংশগ্রহণকারীরা তাদের পরিষেবা এবং মূল সরঞ্জাম উৎপাদন (ওইএম), সিকিউরিটি এবং তত্ত¡াবধানের বিষয়গুলোসহ তাদের এন্টারপ্রাইজ সলিউশন, টেলিকম, ক্লাউড কম্পিউটিং, সরকারি সেবা, গেমিং-সম্পর্কিত আরও বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করবে। বাংলাদেশ সরকারের এটুআই ইনোভেশন ল্যাব তাদের প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষিক্ষেত্র, কর্মসংস্থান, পরিবেশ, মেয়েদের ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য, আইন, পর্যটন ইত্যাদি ক্ষেত্রে উদ্যোগগুলো প্রদর্শন করবে। দেশীয় উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যদ্রব্যসমূহ প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশের প্রযুক্তিতে আগ্রহী তরুণদের অংশগ্রহণকে এক্সপো চলাকালে সমানভাবে উৎসাহিত করা হবে।
অ্যাক্টিভেশন প্রোগ্রামগুলো বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিচালিত হবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের পণ্যগুলো পিচ করার সুযোগ পাবে। অ্যাক্টিভেশন প্রোগ্রামগুলো থেকে নির্বাচিত সেরা ৩০টি উদ্ভাবন এক্সপোতে প্রদর্শিত হবে এবং প্রদর্শনীটি শেষ হওয়ার পরে শীর্ষ ১০ তরুণ উদ্ভাবককে বঙ্গবন্ধু উদ্ভাবনী অনুদান (বিআইজি) দিয়ে ভ‚ষিত করা হবে।
এই এক্সপো বাংলাদেশের আইসিটি, টেলকো এবং ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনকারীদের প্রতিষ্ঠানসমূহকে তাদের পণ্য বিশ্বব্যাপী ক্রেতাদের কাছে প্রচারকার্যে সাহায্য করবে।