দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আহরণ হয়েছে গত তিন মাসে, বললেন অর্থমন্ত্রী
সাইদ রিপন : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, গত তিন মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স অর্জন করেছি। পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙ্গে প্রায় সাড়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স অর্জন করেছি। যা পূর্বের তুলনা প্রায় ১৬ শতাংশ বেশি। এ ধারা অব্যাহত রাখতে রেমিটেন্স আহরণে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া শুরু হয়েছে। বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রেরণকে উৎসাহিত করার বিষয়টি প্রবাসীরা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। গতকাল বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভা কক্ষে ২০ তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে ১৫০০ ডলার পর্যন্ত রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন করা হবে না। এর বেশি হলেই কাগজ দিতে হবে। প্রতি লেনদেন ১৫০০ ডলারের মধ্যে থাকলে দিনে যতবার ইচ্ছা প্রেরণ করতে পারবেন। প্রতি লেনদেনের জন্য ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হবে। এবার রেমিটেন্স ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে।
তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রেরণকে উৎসাহিত করার জন্য ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে বিষয়টি পূর্ণাাঙ্গভাবে কার্যকর করতে আমাদের একটু সময় লেগে গেছে। কেননা এজন্য একটি সিস্টেম তৈরি করতে হয়েছে। এই সিস্টেম করতেই সময় বেশি লেগেছে। তবে এই ঘোষনা দেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ দেশে রেমিটেন্স প্রেরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পৃথিবীর যেকোনো দেশ থেকে কেউ যদি আজকেই রেমিট্যান্স পাঠায় তাহলে সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা পাবেন। গত পহেলা জুলাই থেকে এ পর্যন্ত যারা রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন তারাও এ প্রনোদনার আওতায় থাকবেন। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব