হ্যাপি আক্তার : সমুদ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী রক্ষায় নির্মাণ করা হচ্ছে ১০ মিটার উঁচু ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ বা সুপার ডাইক। এরইমধ্যে শেষ হয়েছে ৫০ ভাগ কাজ। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, দেড় বছরের মধ্যেই শেষ হবে সম্পূর্ণ কাজ। সমুদ্রের কোল ঘেঁষে প্রায় ৩০ হাজার একর জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী। ইতোমধ্যেই এই অর্থনৈতিক বিনিয়োগের জন্য দেশি উদ্যোক্তারা যেমন আগ্রহ দেখিয়েছেন তেমনি এগিয়ে এসেছেন বিদেশি উদ্যোক্তারাও। আর তাদের বিনিয়োগ সুরক্ষায় নির্মাণ করা হচ্ছে ২১ কিলোমিটারের এই বাঁধ।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাঁধের ৩ কিলোমিটার নির্মাণ করছে অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেজা। আর সরকারি অর্থায়নে বাকি ১৮ কিলোমিটার নির্মাণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সব মিলিয়ে ব্যয় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।
সুপার ডাইক নির্মাণে দিনরাত কাজ করছে শত-শত দেশি-বিদেশি কর্মী। ইতোমধ্যেই সাড়ে ৬ মিটার উঁচু হয়েছে বাঁধ। সমুদ্রের ঢেউ ও নোনা পানি থেকে শিল্প এলাকা রক্ষায় ফেলা হয়েছে ব্লক। দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে নয়টি স্লুইচ গেট নির্মাণ। এসব গেট দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হবে শিল্প নগরীর পানি নিষ্কাশন।
বেজা চেয়ারম্যান জানান, চূড়ান্ত পর্যায়ে এই বাঁধ পরিণত হবে মেরিন ড্রাইভে। ১৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের মাধ্যমে যা যুক্ত হবে প্রস্তাবিত বে-টার্মিনাল ও কক্সবাজার বিমানবন্দরের সঙ্গে।
সুপার ডাইক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয় ২০১৬ সালে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের জুনে। সমুদ্র থেকে শিল্প কারখানা রক্ষায় এটি হচ্ছে দেশের প্রথম প্রতিরক্ষা বাঁধ। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন