শোভন দত্ত : দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজার মনিটরিংয়ের প্রভাব পড়েছে হিলি স্থলবন্দরে। সেখানকার পাইকারি বাজারগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজে দাম কমেছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। আর খুচরায় কমেছে ৪০ টাকা পর্যন্ত। সারাবাংলা
রোববার ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পরপরই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে হিলি বন্দরের আড়তগুলো পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মজুতদার ও আড়ৎদারদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। এর প্রভাব পড়েছে হিলি স্থলবন্দরের আড়তগুলোতে। কমতে শুরু করেছে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম।
আড়তগুলোতে পাইকারি ও খোলা বাজারে যে পেঁয়াজ রবি, সোম ও মঙ্গলবার বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা দরে, সেই পেঁয়াজ বুধবার সকাল থেকে বন্দরের আড়তগুলোতে প্রকারভেদে কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর এতে খুশি বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকাররা।
আড়তগুলোতে দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে বন্দর এলাকার খোলা বাজারেও কেজিতে কমেছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। এতে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। তবে বন্দরের আড়তগুলোতে মজুত করা পেঁয়াজ যদি বাজারে ছাড়া হয় এবং প্রশাসনের কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয় তবে দাম আরও স্বাভাবিক হয়ে আসবে এমনটাই আশা করছেন সাধারণ ক্রেতারা।
হিলি স্থলবন্দরের আড়তদাররা জানান, রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পরপরই বন্দরের বেশিরভাগ আড়ত বন্ধ ছিলো। সেই সঙ্গে বেড়েছিলো ক্রেতা সমাগম। দুই একটি আড়ত খোলা থাকায় বেশি দামে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। তবে সব আড়ত বুধবার খোলা রাখায় পেঁয়াজের দাম কমে এসেছে বলে জানান তারা। তারা আরও জানান, আমদানিকারকরা আমাদের বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বলেছেন, তাই আমরা বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। আজ তারা কম দামে বিক্রি করতে বলেছে আমরা তাই কম দামে বিক্রি করছি। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব