জিয়ারুল হক : রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণকে সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। রাইজিংবিডি
ইউএনএইচসিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের উপস্থিতিতে বুধবার এ সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে কাঞ্জরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও হ্নীলার নাইক্ষ্যংখালি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুটি সেমি-পাকা ভবন ও ওয়াস বøক নির্মাণ করা হয়েছে। এ দুই বিদ্যালয়ে যথাক্রমে ৬৫০ ও ৩৭০ জন শিক্ষার্থী আছে। বিদ্যালয় দুটি ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের আগমনের পর অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এছাড়া, টেকনাফের নয়াপাড়া ও জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের এলাকায় বসবাসরত ২১টি দরিদ্র পরিবারকে উন্নত বসতঘর হস্তান্তর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। লোহার কাঠামোতে তৈরি এ ঘরগুলো সহজেই পুনঃস্থাপন করা যায়। সিমেন্টের তৈরি মেঝের কারণে এটি বাঁশের তৈরি ঘরের চেয়ে মজবুত।
কিছু পরিবার উন্নত বসতঘরের সঙ্গে প্রয়োজন অনুসারে গোসলখানার সুবিধাও পাবে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে ইউএনএইচসিআর স্থানীয়দের রান্নার জন্য এলপিজি সিলিন্ডার ও চুলা সরবরাহ শুরু করে। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০০ পরিবারকে সিলিন্ডার ও চুলা সরবরাহ করা হয়েছে। টেকনাফে আরো ৭৮০ পরিবারের মাঝে সিলিন্ডার ও চুলা পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের সহায়তামূলক কর্মকাÐ আরও জোরদার করতে চাই। আমাদের প্রধান লক্ষ্য ২০ হাজার স্থানীয় পরিবারকে চুলা ও এলপিজি সিলিন্ডার পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে তাদের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য বয়ে আনা। অন্যতম লক্ষ্য হলো- গাছ কাটা রোধের মাধ্যমে বন উজার বন্ধ করা এবং পরিবারের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআরের হেড অব অপারেশন মারিন ডিন কাইদুমচাই বলেন, ‘স্থানীয় জনগণ শরণার্থীদের প্রতি অতুলনীয় মানবতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের নিদর্শন দেখিয়ে তাদের স্বাগত জানিয়েছে ও আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিশাল জনগোষ্ঠীর আগমনের প্রভাব পড়ছে প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশের ওপর। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা স্থানীয় দরিদ্র জনগণের সহায়তা করতে চাই। কার্যক্রমগুলো এমনভাবে গ্রহণ করা হয়েছে, যেন স্থানীয় দরিদ্র জনগণের মঙ্গল নিশ্চিতের মাধ্যমে শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশিদের মাঝে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান রক্ষা করা যায়।’ সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব