জিয়ারুল হক : এক চিঠিতে বিএসটিআই জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও বিদেশি স্বীকৃত রেফারেন্স মান/স্পেসিফিকেশনের আলোকে প্লাস্টিকের খেলনার ওপর জাতীয় মান/গাইডলাইন প্রণয়ন করা যেতে পারে। বাংলানিউজ
এ বিষয়ে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী জে আর খাঁন রবিন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘গত ১১ সেপ্টেম্বর ক্ষতিকর প্লাস্টিকের খেলনার উৎপাদন, আমদানি এবং বাজারজাত বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নোটিশ দিয়েছিলাম। এ নোটিশের সূত্র ধরে বুধবার বিএসটিআই আমাকে একটি চিঠি দিয়েছে।’
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্লাস্টিক খেলনার বিষয়ে বাংলাদেশে মান প্রণয়নের জন্য বিএসটিআইতে ‘রাবার অ্যান্ড প্লাস্টিক’ শিরোনামে একটি শাখা/কারিগরি কমিটি রয়েছে। ওই কমিটির মাধ্যমে গাইডলাইন প্রণয়ন করা যেতে পারে। এমন অবস্থায় ‘রাবার অ্যান্ড প্লাস্টিকস’ শাখা কমিটির সভা শীঘ্রই আহŸান করা হবে।
রবিন বলেন, ‘যদি এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে বিএসটিআই ব্যর্থ হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় আদেশ জারির নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবো।’
তিনি বলেন, প্লাস্টিকের খেলনা মূলত হালকা ও ভারী প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়। এসব প্লাস্টিকে অনেক ধরনের ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ থাকে। তাছাড়া প্লাস্টিকের খেলনাকে আকর্ষনীয় করতে নানা রকম ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। কখনো কখনো শিশুরা এসব খেলনা মুখে দেয়। এতে প্লাস্টিকের ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ শিশুর শরীরে প্রবেশ করে। যা ক্যান্সারসহ নানারকম দূরারোগ্য রোগের সৃষ্টি করে।
নোটিশে বলা হয়, পৃথিবীর অনেক দেশে নিরাপদ প্লাস্টিকের খেলনার নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে কোনো নীতিমালা নেই,’ বলেন আইনজীবী জে আর খাঁন রবিন।