স্বপ্না চক্রবর্তী : ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার একদিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। কিন্তু মিয়ানমার এবং মিশর থেকে আমদানিকৃত নতুন পেঁয়াজ বাজারে পৌছানোর পর পাইকারি বাজারে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দাম কমলেও খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাবই পড়েনি। গতকাল বৃহস্পতিবারও রাজধানীর খুচরা বাজার এবং মুদি দোকানগুলোতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়। আর আমদানি করা নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্যামবাজারের আড়ত ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। মজুতকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় আর মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৫৮ থেকে ৬০ টাকা দরে। কিন্তু কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও তালতলা বাজার, মগবাজারের মধুবাগ বাজারের খুচরা বিক্রেতারা ১২০ টাকা দরেই বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা পেঁয়াজ এখনো মোকামেই আছে তা এখনো তাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। বেশি দাম দিয়ে কেনা পেঁয়াজই বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই ক্রেতাদের কাছ থেকে কম দাম রাখার সুযোগ নেই।
শ্যামবাজারের মেসার্স রাজু ট্রেডার্সের সত্ত¡াধিকারী বাবু জানান, ভারত রপ্তানি বন্ধের পর অনেকেই হুজুগে বাড়তি পেঁয়াজ কিনেছিলেন অধিক মুনাফার আশায়। কিন্তু দাম বাড়ায় পেঁয়াজের চাহিদা কমে হু হু করে। তাই তাদের সরবরাহ করা পেঁয়াজই বিক্রি করতে পারে নি। ফলে আমদানি করা নতুন পেঁয়াজ কম দাম হলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা এখন পর্যন্ত তা সরবরাহ করছেন না। বাধ্য হয়ে তাদের আগের কেনা দাম ক্রেতাদের আদায় করতে হচ্ছে। একই কথা বলেন মগবাজার এলাকার মুদি ব্যবসায়ী সোহান মিয়া। তিনি বলেন, আগের বাড়তি দাম দিয়ে কেনা পেঁয়াজই রয়ে গেছে। এখন নতুন করে কেনার অবস্থা তৈরি হয় নি। আর যেহেতু আমরা বেশি দাম দিয়ে পেঁয়াজ এখনো বিক্রি করছি তাই দাম কমানোর কোনো কারণ দেখছি না।
তবে পাইকারি বাজারের মতো খুচরা বাজারেও দ্রæত দাম কমবে বলে আশ্বস্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী। তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে ইতোমধ্যে ৪৮৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশের বাজারে এসেছে। পাইকারি বাজারে দাম কমে গেছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত। আশা করছি খুচরা বাজারেও দুই একদিনের মধ্যে দাম কমে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আরও ৫শ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে পৌঁছানোর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দেশে কি পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ আছে সে হিসাব সরকারের কাছে নেই বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব