রেজা মাহমুদ : শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বলেছেন, আমাদের দেশের শেয়ারবাজার এখনো যে স্টেজে আছে তার ডেভলেপমেন্টে বড় বাঁধা মাল্টি প্রোডাক্টের অভাব। ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ প্রোডাক্ট আমাদের নাই। কি ধরনের প্রোডাক্ট আসতে পারে অথবা কি করলে বাজার তাড়াতাড়ি গ্রহণ করবে, অধিকাংশ বিনিয়োগকারীদের এ সর্ম্পকে রয়েছে নলেজের অভাব।
বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের চয়েজের জায়গাটি সীমিত। বিনিয়োগকারীদের লেভেল অব নলেজ যেটা তাও সীমিত। একাডেমির কাজই হলো সেই নলেজ বেজকে এনাউন্স করা এবং তাদেরকে শিক্ষিত করে তোলা। যাতে পুঁজির চেয়েও এই নলেজটা তার ইনভেস্টমেন্টে ক্ষেত্রে প্রফিট আর্ন করতে সবচেয়ে বড় ক্যাপিটাল হিসেবে আবির্ভূত হয়।
একাডেমি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটা একাডেমি থাকার মানে হলো সবচেয়ে লেটেস্ট টেকনোলজি কি, নতুন প্রোডাক্ট কি আসছে, এখানে বিনিয়োগকারীদের জন্য কি আছে, নতুন ধরণের কারসাজি ডিফেকশন, আইডিয়েন্টিফিকেশন এবং তার বিরুদ্ধে যে অ্যাকশন নেয়ার বিষয়গুলো একাডেমির মাধ্যমে শেখা যায়। সারা পৃথিবীতে নতুন নতুন যে জ্ঞানের সৃষ্টি হয়, সেই জ্ঞানকে একসাথে করে একাডেমির মাধ্যমে দেশের মানুষের কাছে উপস্থাপন করা। নতুন স্কিল, ম্যানপাওয়ার মার্কেটের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা এবং নিজেরা গবেষণা করে এমন কিছু উদ্ভাবন করা যাতে করে মার্কেটের বিকাশ ত্বরান্বিত হয়। সেই উদ্দেশ্যেই একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
সবশেষে তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে শেয়ারবাজারে যেসব প্রোবলেম আইডেন্টিফাই করেছে এবং সেই আইডেন্টিফাইড প্রোবলেমকে কিভাবে এড্রেস করেছে তার এক্সপেরিয়েন্সের আলোকে নিজেদের শিক্ষিত করতে হবে। একইসাথে সকলে সম্মিলিতভাবে শেয়ারবাজাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।