হোন্ডার মতো বিদেশি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান অর্থমন্ত্রীর
সাইদ রিপন : গতকাল দুপুরে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার বাউশিয়া এলাকার আব্দুল মোমেন অর্থনৈতিক অঞ্চলে হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড ফ্যাক্টরি ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মাত্র নয় থেকে ১০ মাসের মধ্যে এই ফ্যাক্টরি সেটাপ করেছে। এটা একটা উদাহরণ যে বাংলাদেশে কম সময়ে ব্যবসা করা যায়। আমি মনে করি অন্য জাপানি যে কোম্পানি আছে তারাও হোন্ডার দেখাদেখি চলে আসবে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোও আসবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এ স্পেশাল ইকোনোমিক জোন খুব অল্প সময়ে ডেভলপ করেছে আব্দুল মোমেন গ্রুপ। অন্যন্য ইপিজেডের অগ্রগতির ব্যপারে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের সরকার থেকে যে পরিকল্পনা সেটা হলো ইকোনোমিক জোনে অলআউট সাপোর্ট দেব। তাদের কোন রকম সমস্যা হলে সেটা সমাধানে পদক্ষেপ নিব। কোথাও কোন শিল্প কারখানা যদি কোন সমস্যা ফেস করে আমাদের বললে সেটা সুরাহা করবো। স্পেশাল ইকোনেমিক জোন অথরটি আছে এ ব্যাপারে তারও কাজ করছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানের মিরসরাই স্পেশাল ইকোনোমিক জোনে অসাধারণ কর্মতৎপরতা শুরু হয়েছে। মাতারবাড়িতে শুরু হয়েছে। আমাদের প্রতিটা ইকোনোমিক জোনে না হলেও চার ভাগের এক ভাগ ইমোনোকি জোনের প্রগ্রেস খুব ভালো।
ইকোনোকিম জোনের কাজ খুব দ্রুত এগিয়ে চলছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের লক্ষে চলছি।’
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) তথ্যানুযায়ী, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে পূর্ণাঙ্গভাবে গড়ে তোলা হবে। জানা যায়, মুন্সিগঞ্জে ২৫ একর জমির ওপর প্রায় ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে যৌথভাবে এই ফ্যাক্টরি গড়ে তুলেছে হোন্ডা ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন। প্রাথমিকভাবে এই ফ্যাক্টরিতে বছরে এক লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদন সম্ভব। সম্পাদনা : ইকবাল খান