ক্যাসিনোয় জড়িত ২০ জনের তালিকা দুদকে সমন্বিত ব্যবস্থা নিলে দুর্নীতির লাগাম টানা সম্ভব, বললেন দুদক কমিশনার
জিয়ারুল হক : ইতিমধ্যে তাদের সম্পদের অনুসন্ধানও শুরু হয়েছে। সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। বাংলা ট্রিবিউন
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করে কেউ পার পাবে না। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
যুবলীগ নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের চার দিনের মাথায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। ওই দিনই গুলশানের বাসা থেকে যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, অস্ত্র আইন, অবৈধভাবে জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগে গুলশান ও মতিঝিল থানায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে হলুদ রঙের বিশেষ ধরনের ইয়াবা ট্যাবলেট ও অস্ত্রসহ কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতিসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। এছাড়া অভিযানে ক্যাসিনো চালানোর বিভিন্ন সরঞ্জাম ও জুয়া খেলার বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
ওইদিনই নিকেতনের ১১৩ নম্বর বাসা থেকে যুবলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীমকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এ সময় সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ও একটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।
গত রোববার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্লাবপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে জুয়ার আসর ও ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান