পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
মোহাম্মদ রকিব : মহাবিশ্বের গঠন ও ক্রমবিকাশের পাঠে নতুন আলোর সঞ্চার করার পাশাপাশি সৌরজগতের বাইরে সূর্যের মতো নক্ষত্র ঘিরে আবর্তনরত প্রথম গ্রহ আবিস্কারের স্বীকৃতিতে চলতি বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। বিডিনিউজ, বাংলাট্রিবিউন
ফিজিকাল কসমোলোজি বিষয়ে গবেষণায় এই পুরস্কার পান জেমস পিবলস এবং সূর্যের মতো নক্ষত্রকে পরিভ্রমণরত এক্সোপ্লানেট আবিষ্কারের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন মাইকেল মেয়র এবং দিদিয়ের কুলোজ। তাদের সম্মানী হিসেবে ১১ লাখ মার্কিন ডলারও দেয়া হচ্ছে। প্রতিবছর বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেয়া হয়। রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস মঙ্গলবার এই তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করে। এর আগে ২০১৮ সালে ৫৫ বছর পর প্রথম কোনও নারী পদার্থবিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার পান।
আর এবছর পদার্থবিজ্ঞান শাখায় পুরস্কার দেয়া হলো মহাকাশ নিয়ে যুগান্তকারী উদ্ভাবন নিয়ে। এই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণার কারণেও এখন আরও অসংখ্য এক্সোপ্লানেটের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের শতকরা ৯৪ ভাগ (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮-তে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধান করা এবং নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ একাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেয়া হয়। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান