এশীয় প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুততম প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ, বললেন অর্থমন্ত্রী
সাইদ রিপন : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সূচক অনুসারে, দ্রুততম সময়ে দারিদ্র্য দূর করা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। চলতি বছরের বিশ্ব অর্থনীতির বড় সূচকগুলোয় একে একে প্রশংসনীয় অবস্থানে চলে এসেছি আমরা। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ২০১৯ ডেভেলপমেন্ট আউটলুক অনুসারে, উচ্চপ্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৫টি দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি।
গতকাল চট্টগ্রামে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান খান কাওসারের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর এবং উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। তিনি বাঙালি জাতিকে নতুন এক আশা দেখিয়েছেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে উন্নীত করছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচারসহ জাতীয় জীবনের বহু ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আতাউর রহমান খান কায়সার একজন অকুতভয় নিবেদিত প্রাণ, প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ ছিলেন। বঙ্গবন্ধু দেশ ও জনগনের স্বার্থে ৭১ এর নির্বাচনে কিছু বাস্তব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্তের ফলে কিছু পরিবারের সন্তানরা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এসেছিলেন। তারা বিশ্বস্ত থেকে দলের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন এবং আওয়ামী রাজনীতিকে পরিপূর্ণতা এনে দিয়েছেন। জনমনে তারা অমর হয়ে রয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, তিনি একজন ক্রীড়াবিদ, একজন সংস্কৃতি সেবক ও কবি ছিলেন। চট্টগ্রামে সাহিত্য সংস্কৃতি অঙ্গনে তার প্রশংসনীয় বিচরণ ছিলো। রাজনীতিতে তিনি অনুসরণীয় একজন ব্যক্তিত্ব, দেশ ও জাতি গঠনের প্রতিটি কর্মকা-ে অগ্রসেনানী। দেশপ্রিয় আতাউর রহমান খান কায়সার রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসে একজন বলিষ্ঠ অভিযাত্রী। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে তার অবদান ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয়, বরণীয় ও অনুসরণীয় ইতিহাস হয়ে থাকবে। তার আদর্শ আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করে এবং সামনে এগিয়ে যেতে আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব