শোভন দত্ত : বর্ষা মৌসুম বিদায় নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রকোপও অনেকখানি কমে এসেছে, কিন্তু চলতি বছর মশাবাহিত রোগ ছাড়িয়ে গেছে অতীতের সব রেকর্ড। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশনস অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের শুরু থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৯১ হাজার ৫৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিডিনিউজ
২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ৫০ হাজার ১৪৮ জনের ডেঙ্গুর চিকিৎসা নেওয়ার তথ্য নথিভুক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩৮, ফেব্রæয়ারিতে ১৮, মার্চে ১৭, এপ্রিলে ৫৮, মে মাসে ১৯৩, জুনে ১ হাজার ৮৮৪, জুলাইয়ে ১৬ হাজার ২৫৩, আগস্টে ৫২ হাজার ৬৩৬ জন এবং সেপ্টেম্বরে ১৬ হাজার ৮৫৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। অক্টোবরের ৯ তারিখ পর্যন্ত হাসপাতালে গেছেন ২৮৪৬ জন ডেঙ্গুরোগী।
অর্থাৎ, এ বছর কেবল অগাস্ট মাসেই ১৯ বছরের চেয়ে বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব প্রথম ধরা পড়ে ২০০০ সালে। সরকারি হিসাবে ওই বছর সারা দেশে পাঁচ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন, মৃত্যু হয় ৯৩ জনের। মৃত্যুর সংখ্যায় গত ১৯ বছরের মধ্যে সেটাই সর্বোচ্চ।
চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ‘ডেথ রিভিউ’ প্রক্রিয়া চালু করে, যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হয়। সেই ‘রিভিউ’ শেষে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর যে হিসাব এ পর্যন্ত সরকার দিয়েছে, তা ২০০০ সালের রেকর্ড স্পর্শ করেছে বৃহস্পতিবার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার জানান, ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২৪২ জনের মৃত্যুর তথ্য রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) কাছে এসেছে।
এর মধ্যে ১৫১ জনের ক্ষেত্রে তথ্য পর্যালোচনা শেষ হয়েছে, তাতে ৯৩ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান