মতিনুজ্জামান মিটু : বিগত বছরে ইঁদুর অভিযানে আমাদের কোনো লাভ হয়েছে কিনা, তার মূল্যায়ন দরকার। তা না হলে শুধু ইঁদুর নিধন অভিযান চালিয়ে কোনো লাভ হবে না। ইঁদুর কোন ফসলে কি পরিমাণ ক্ষতি করে এবং টাকার অংকে তার পরিমাণ কতো তাও বের করতে হবে। আগামীতে এ বিষয়গুলো হিসাব নিকাশের মধ্যে আসতে হবে। গতকাল রাজধানীর খামারবাড়ির গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটরিয়ামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০১৯ উদ্বোধন ও ২০১৮ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিবিএস ও ডিএই’র তথ্যের মধ্যে মিল নেই। তথ্যের যদি মিল না থাকে তাহলে আমরা এগুবো কিভাবে? জমি কমছে, মানুষ বাড়ছে। তার ওপর কৃষকও ফসলের দাম পাচ্ছে না। এই বাস্তবতায় ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুন করতে হবে। এটা কোনো সহজ কাজ নয়। তাই নতুন প্রযুক্তি, উদ্ভাবনী শক্তি ও জাত উন্নয়নের বিকল্প নেই। গবেষণায় উদ্ভাবিত নতুন জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারিত করে মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, মাউস হান্টার নাম দিয়ে উপসহকারি কৃষি অফিসারদের মাধ্যমে প্রতিদিন ইঁদুর নিধন অভিযান চালাতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে রাজস্ব বা প্রকল্প বা কর্মসূচির মাধ্যমে নিধনকারীদের আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। তাহলেই ইঁদুর নিধনে সাফল্য আসবে। ক্ষতিকর পোকা ও ইঁদুর দমনের জন্য প্রত্যেক গ্রামের পতিত জায়গায় অভয়ারণ্য তৈরি করতে হবে। গুইসাপ মারা যাবে না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ চন্ডী দাস কুÐু এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ এ জেড এম ছাব্বির ইবনে জাহান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপপরিচালক কৃষিবিদ জাকিয়া বেগম। প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহ আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
‘আসুন, সম্পদ ও ফসল রক্ষায় সম্মিলিতভাবে ইঁদুর নিধন করি’ প্রতিপাদ্যে সকালে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযানের বর্ণাঢ্য র্যালি জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা হতে শুরু এবং মিলকী অডিটরিয়াম চত্বরে শেষ হয়। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান