শোভন দত্ত : সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটির প্লেনারি সভায় শুক্রবার ‘কৃষি উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি’ বিষয়ক’ এজেন্ডার (এজেন্ডা ২৪) আওতায় এই প্রস্তাব তুলে ধরেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, কৃত্রিম তন্তুর বিপরীতে প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারের সুবিধার ক্ষেত্রে এখনও যথেষ্ট জনসচেতনতা সৃষ্টি হয়নি। এ বিষয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি ও সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে সাধারণ পরিষদে একটি রেজুলেশন গ্রহণ করা প্রয়োজন। আর এই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশ প্রাকৃতিক তন্তু যেমন পাট ও সিসাল-এর ব্যবহার বিষয়ক প্রস্তাবটি উত্থাপন করলো। বিডিনিউজ
পাট এক সময় বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য ছিলো। প্লাটিকের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার পর পাট শিল্প ধুঁকতে থাকে। তবে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিক বর্জনের আওয়াজ এখন ওঠায় পাটের সুদিন ফেরার আশা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারের বৈশ্বিক সচেতনতা সৃষ্টিতে এই প্রস্তাব হতে পারে একটি কার্যকর দলিল, যা শুধু উৎপাদনকারী বা শিল্প-প্রতিষ্ঠানের জন্যই নয়, ভোক্তাদের জন্যও এনে দেবে প্রকৃতিকে বাঁচানোর একটি সুযোগ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই প্রস্তাব টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় রাষ্ট্রগুলোকে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশ আনা এই প্রস্তাব সমর্থন করতে স্থায়ী প্রতিনিধি সব সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। রাষ্ট্রদূত মোমেন কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সাফল্যগুলোও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সাহসী ও বাস্তবভিত্তিক নীতি-কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে কৃষিখাতে আমূল পরিবর্তন এসেছে, গ্রামীণ উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ক্ষমতায়িত হয়েছে, আর ক্ষুদ্র কৃষিজীবী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাগণ স্থানীয় ভিত্তিতে খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থাপনার ফলে সুরক্ষিত রয়েছে। বাংলাদেশ আজ শাক-সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, চাল উৎপাদনে চতুর্থ এবং মৎস্য উৎপাদনে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান