আলীউর রহমান : বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)৩টি কোম্পানির (পদ্মা, মেঘনা এবং যমুনা) মাধ্যমে জ্বালানি সরবরাহ করে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বর্তমানে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে কুতুবদিয়া থেকে মাদার ভেসেলে (বড় জাহাজ) আমদানিকৃত অপরিশোধিত তেল পাইপ লাইনের মাধ্যমে পতেঙ্গাস্থ ইষ্টার্ণ রিফাইনারি লি: (ইআরএল) এ পরিবহণের জন্য সিংগেল পয়েন্ট মুড়িং (এসপিএম) প্রকল্প, ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপ লাইন প্রকল্প, কুর্মিটোলা-কাঞ্চন ব্রিজ, রুপগঞ্জ পর্যন্ত জেট-এ-১ পাইপ লাইন প্রকল্প, ইষ্টার্ণ রিফাইনারি লি: (ইআরএল) ২য় ইউনিট প্রকল্প এবং ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপ লাইন প্রকল্প উল্লেখযোগ্য। জ্বালানি তেল পরিমাপ ও সরবরাহ সংক্রান্ত প্রচলিত পদ্ধতির আধুনিকায়ণের লক্ষ্যে চট্টগ্রামস্থ প্রধান স্থাপনাসহ দেশের সকল ডিপোর অপারেশনাল কার্যক্রম অটোমেশনাল প্রক্রিয়ায় করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিতকরণসহ সিস্টেম লস সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকবে মর্মে বিপিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। জ্বালানি তেলের মূল্য আদায়ে পেমেন্ট অটোমেশনাল কার্যক্রমও হাতে নিয়েছে বিপিসি। বর্তমানে এ কার্যক্রম গ্রহণের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। বিপিসি’র আওতাধীন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের নিকট পাওনা প্রায় ৭৫০০ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। আদায়কৃত অর্থ যথাযথ বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি গত এক বছরের আয় বৃদ্ধি করেছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা । চেয়ারম্যান সামছুর রহমানের উদ্ভাবনী দক্ষতা, সফল ব্যবস্থাপনা ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে এসব সম্ভব হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠান সূত্র নিশ্চিত করেছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান/টিএম হুদা