জিয়ারুল হক ও স্বপন দেব : মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় সীমান্ত এলাকা হয়ে দেশত্যাগের সময় আটক হওয়া ঢাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজানের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। শনিবার তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে শুক্রবার ভোরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বান্ধবীর বাসা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও নগদ দুই লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
তিনি সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আটক হওয়ার পর তাকে সঙ্গে নিয়ে বিকেলে মোহাম্মদপুরে তার বাসায় অভিযান চালান র্যাব সদস্যরা। এসময় তার বাসা থেকে ছয় কোটি ৭৭ লাখ টাকার চেক, এক কোটি টাকার এফডিআর জব্দ করা হয়।
শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এবং মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে র্যাব বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করে।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘কাউন্সিলর মিজানের বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গলে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদপুর থানায় মানি লন্ডারিং আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে।’
শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালেক জানান, ‘শনিবার দুপুরে র্যাব ৯ এর ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।’
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানিয়েছেন, ‘কাউন্সিলর মিজানকে যেহেতু অবৈধ অস্ত্রসহ শ্রীমঙ্গল থেকে আটক করা হয়েছে সেহেতু তার নামে শ্রীমঙ্গল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হবে। তাছাড়া আয় বহির্ভূত অবৈধ অর্থ উপার্জনের কারণে তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে ঢাকায় মামলা করা হবে।’ সম্পাদনা : রেজাউল আহসান