আব্দুম মুনিব, কুষ্টিয়া : বুয়েট ছাত্র আবরারের বাড়িতে যেতে পারেননি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। এ সময় তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা নিহত আবরার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে কুষ্টিয়া যাচ্ছিলাম। পুলিশি বাধার মাধ্যমে সরকার আমাদের গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সরকার সংবিধানের ৩৯ ধারা লঙ্ঘন করে গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করেছে।
আমান বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আমাদের সংগ্রাম চলমান আছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই অগণতান্ত্রিক সরকারের পতন হবে। রোববার সকালে ঢাকা থেকে রওয়ানা হন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। বেলা সাড়ে ১১টায় লালন শাহ ব্রিজ পার হয়ে আমান উল্লাহ আমানের গাড়ি কুষ্টিয়া ঢোকার প্রবেশ মুখে ভেড়ামারা থানা পুলিশের একটি দল ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয়। গাড়ি থেকে নেমে আমান উল্লাহর সঙ্গে পুলিশের কথাকাটাকাটি হয়। পুলিশি বাধার মুখে ১০ মিনিট পর তিনি গাড়ি ঘুরিয়ে ঢাকার ফিরে যেতে বাধ্য হন।
তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ডাকসুর সাবেক নেতা নাজিমুদ্দিন আলম ছিলেন। তাদেরকে আনতে কুষ্টিয়া থেকে লালন শাহ ব্রিজে যান কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রূমী, সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি সোহরাব উদ্দীন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু। পরে তারা কুষ্টিয়ায় চলে আসেন। এদিকে বিএনপি নেতার কুষ্টিয়া আগমন উপলক্ষ্যে লালন শাহ ব্রিজের মুখে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ বিভিন্ন গাড়ি তল্লাসী করে। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ারামা সার্কেল) আল বিরুনি জানান, তার নিজের নিরাপত্তা জনিত কারণে আমান উল্লাহ আমানকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু