রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে উচ্চমূল্য দিতে হচ্ছে, বললেন অর্থমন্ত্রী
সাইদ রিপন : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কারণে বর্তমানে কক্সবাজারসহ আশেপাশের এলাকার পুরো পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এতে আমাদের সামাজিকভাবে ও জলবায়ুগত চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। আমাদের সামাজিক বন্ধনসহ যে সব ক্ষতি হচ্ছে তা ডলার বা টাকার অংকে পরিমাপ করা সম্ভব নয়। আমরা মনে করছি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের কোনো বিকল্প নেই। যে কোনো উপায়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
গত শনিবার ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক এক গোল টেবিল বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট, হার্টউইগ শেফার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদারসহ সংশ্লিষ্টরা। বৈঠকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যেন নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে সেই বিষয়ে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলার জন্য বিশ্বব্যাংককে জোরালো ভূমিকা রাখতে বলেছে বাংলাদেশ। এই বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন হার্টউইগ শেফার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এই জন্য বলছি তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেন। কোনো অলটারনেটিভ অ্যাকশন নেই, শুধু তাদের ফিরিয়ে নেন। আমরা বিশ্বাস করি বিশ্বব্যাংক বিশ্ববাসীর সঙ্গে আলাপ করে একটা পজিটিভ সিদ্ধান্ত নেবে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে পাঠাতে হলে সবার সাপোর্ট নিতে হবে। তবে এখনও কেউ আপত্তি করেনি। এজন্য বিশ্বব্যাংক বা অন্য কোনো উন্নয়ন সহযোগীর এখাতে আর্থিক সহায়তার বিষয়টি আমরা ভাবছি না। আমরা ভাবছি তাদের প্রত্যাবাসন ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। আশা করি বিশ্বব্যাংক সবার সঙ্গে আলোচনা করে আমাদেরকে একটা সুন্দর সমাধানের পথ দেখাবে। এই বিষয়ে বিশ্বের সবাই আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে। এতে চীন, ভারত ও জাপান প্রত্যেকে একেকটি বড় ফ্যাক্টর। ফলে এদেরকে বাদ দিয়ে কিছু করা যাবে না। তারা সবকিছু আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব