ড. সালেহ উদ্দিন বললেন, প্রবৃদ্ধি অর্জন ধরে রাখতে আয় বৈষম্য কমাতে হবে
জুয়েল খান : আগামী পাঁচ বছর বিশ্বে অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে ২০টি দেশর মধ্যে আধিপত্য দেখাবে বাংলাদেশের। ২০ অক্টোবর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানিয়েছে। ২০১৯ সালের বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ৮৫ দশমিক ৮ শতাংশ থাকবে এই ২০ দেশের দখলে। তবে বিশ্লষকরা বলছেন এই অবস্থান ধরে রাখতে সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষ করে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি থাকা এবং সরকারি প্রকল্প বাস্তাবায়নে ধীরগতির কারণে কিছুটা ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সবার আগে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য বাজার ব্যবস্থা, রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান, শেয়ারবাজারসহ সব আর্থিকপ্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে মানবসম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সকল প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। তবে দুর্নীতির কারণে অনেক বড় বড় প্রকল্প সময় বাড়িয়ে ব্যয় বৃদ্ধি করে অর্থের অপচয় হচ্ছে, যা প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার ক্ষেত্রে বড় বাধা। এছাড়া বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে চড় এলাকায় অনেক মানুষ ভাসমান অবস্থায় থাকছে, তাদের বাসস্থানসহ মৌলিক চাহিদাগুলো পুরণে এখনো শতভাগ সফলতা আসেনি। তবে বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগের হার বাড়াতে হবে। এজন্য বিদেশি বিনিয়োগকারিদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাকিষ্ঠানিক কজাগপত্র এবং অবকাঠামোগত সুবিধা দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষায়িত শিল্প অঞ্চলগুলোতে অনেক দক্ষ শ্রমিকের যোগান দিতে হবে কিন্তু দক্ষ জনবলে অভাবে বাংলাদেশের অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিদেশিরা কাজের সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। এজন্য সরকারকে আরও বেশি দক্ষ জনবল তৈরি করার ওপড়ে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে আমাদের পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ করে দ্রুত সময়ে পণ্য খালাসের ব্যবস্থা করতে হবে এবং দ্রুতসময়ের মধ্যে বন্দর পর্যন্ত পণ্য পৌছানো ব্যবস্থার করতে হবে। এছাড়া মৌলিক শিক্ষার গুণগতমান বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষার ওপড়ে গুরুত্ব দিতে হবে। যদি সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি কমানো সম্ভব হয় তাহলে বাংলাদেশ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারবে।