প্রতিমাসে ফারুক ৭০ লাখ ও মেনন ১৫ লাখ টাকা পেতেন, জানালেন সম্রাট
ইসমাঈল ইমু : ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট ক্যাসিনোর চাঁদার ভাগ ২০ জনকে দিতেন। এদের মধ্যে সাতজন সরাসরি চাঁদার টাকা নিতেন। এদের মধ্যে দুইজন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা, তিনজন সংসদ সদস্য এবং দুজন পুলিশ কর্মকর্তা। রিমান্ডে থাকা স¤্রাট জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে এসব তথ্য জানিয়েছে।
অঙ্গসংগঠনের মধ্যে যুবলীগের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার। তিন এমপির মধ্যে একজন গোপালগঞ্জের, একজন ভোলার ও অন্যজনের নাম বললেও কোন আসনের এমপি তা নিশ্চিত করতে পারেননি স¤্রাট। এছাড়া দুই পুলিশ কর্মকর্তাও সরাসরি চাঁদা নিতেন। তাদের দুজনই অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) পদমর্যাদার কর্মকর্তা। এদের মধ্যে ওমর ফারুক চৌধুরীকে মাসে ৭০ লাখ, রাশেদ খান মেননকে ১৫ লাখ টাকা দিতেন স¤্রাট। এছাড়া অন্যদের সুনির্দিষ্ট টাকার পরিমান জানাননি তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে স¤্রাট জানিয়েছেন, মতিঝিলের ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, আরামবাগ ক্লাব, দিলকুশা ক্লাব, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ভিক্টোরিয়া ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ ছিলো তার হাতে। পাশাপাশি ইয়াংমেন্স ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ ছিলো যৌথভাবে স¤্রাট ও যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার হাতে। স¤্রাট এই ছয়টি ক্লাবের ক্যাসিনো থেকে প্রতিদিন রাতে ৭ থেকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা চাঁদা তুলতেন। এছাড়াও গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেট, আদর্শ মহানগর মার্কেট, ফুলবাড়িয়া ও বঙ্গবাজারের চারটি মার্কেট থেকে প্রতি রাতে ১ লাখ টাকা আসতো তার কাছে। এসব টাকার ভাগ সরাসরি ৭ জনকে দিতেন বলে দাবি করেছেন স¤্রাট। মূলত ওই সাতজনকে সুবিধা দিয়েই নির্বিঘেœ ক্যাসিনো ও চাঁদাবাজি টিকিয়ে রেখেছিলেন। তদন্তে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে স¤্রাটের বিপুল পরিমাণ টাকা পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে। শিগগিরই তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হবে। স¤্রাট যাদের কথা বলেছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন ইতোমধ্যে আত্মগোপনে। গত রোববার রাতে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুককে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এর আগে গত ৩ অক্টোবর তার ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারওয়ার-বিন-কাশেম বলেন, স¤্রাটের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো উঠেছে সে বিষয়ে তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছেনা। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব