
আলোর উৎসব ‘দীপাবলী’ ও দেবি কালীর পূজা

প্রকৌশলী প্রাঞ্জল আর্চায্য
‘হামায়ে জগন্মাতঃ কালীকে ঘোরদক্ষণি। গৃহাণ বনন্দনং দেবি নমস্তে পরমশ্বের
‘দীপাবলী’ উৎসবটি সনাতন র্ধমাবলম্বীরা আলোর উৎসব হসিবেে অত্যন্ত আনন্দরে সাথে পালন করনে। এইদনিে বাংলায় মহা ধুমধামে কালীপূজা ও লক্ষীপূজা অনুষ্ঠতি হলওে মূলত দুটি পূজারই পৃথক ইতহিাস রয়ছে।
ত্রতোযুগে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র পতিার আদশেকে শরির্ধায করে সীতাদবেী ও ল²ণসহ চৌদ্দ বৎসর বনবাসলীলা ও অশুভ মহাশক্তি রাবণরে সাথে যুদ্ধ করছেলিনে। শ্রীরামচন্দ্ররে চৌদ্দ বৎসররে বনবাসে র্দীঘ বরিহে অযোধ্যাবাসী কাতর হয়ছেলিনে। শ্রীরামচন্দ্র বনবাস শষে হলে ভক্ত হনুমানরে মাধ্যমে ভাই ভরতরে কাছে অযোধ্যা নগরীতে ফরিে আসার র্বাতা পাঠান। র্কাতকি মাসরে কৃষ্ণপক্ষরে অমাবস্যা তথিতিে তনিি অযোধ্যা নগরীতে তার প্রাণপ্রয়ি ভক্তদরে মাঝে ফরিে আসবনে। শ্রী রামচন্দ্ররে আগমন র্বাতা পয়েে রাজা ভরত মহোৎসবরে ঘোষণা দনে। শ্রী রামচন্দ্ররে আগমনে সমস্ত অমঙ্গল অকল্যাণ দূর হবে এই কামনায় পথ,ে বাড়তি,ে গাছে র্সবত্রই মঙ্গল প্রদীপ জ্বালয়িে দয়ো হয়। সমগ্র নগরী আলোর উৎসবে সজ্জতি হয়ে উঠ।ে যনে তাদরে প্রাণপ্রয়ি শ্রীরামচন্দ্র অমাবস্যার অন্ধকার পরাভ‚ত করে মঙ্গলময় আলোকে নগরীতে প্রবশে করতে পারনে। সইে থকেে এই শুভ দনিটতিে অশুভ অন্ধকার দূর করার লক্ষ্যে আলোর প্রদীপ জ্বালানো হচ্ছ।ে এই শুভ দনিটতিে অনকেস্থানে লক্ষীপূজাও অনুষ্ঠতি হয়।
দীপাবলীর রাতে উপমহাদশেরে এই অংশে কালীপূজাও মহা আড়ম্বরে অনুষ্ঠতি হয়। স্কন্ধ পূরাণরে বষ্ণিুখÐে (৯.৬১) দীপাবলীর মাহাত্ম্যে র্বণতি আছ।ে ‘মহারাত্রীঃ সমুৎপন্না চর্তুদশ্যাঃ মুনীশ্বরঃ।’ র্অথাৎ র্কাতকি মাসরে কৃষ্ণপক্ষরে চর্তুদশীর শষে রাতে অমাবস্যা তথিি শুরু হলে দবেী মহারাত্রী (মহাকালী) আবর্ভি‚তা হন। আর এই কারণইে র্কাতকি মাসরে কৃষ্ণপক্ষরে অমাবস্যা তথিতিে শাক্ত সম্প্রদায় দবেী কালীর পূজা করে থাকনে ।
নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও তার বংশধরগণ বাংলায় কালী পূজার প্রচলন ও তা জনপ্রয়ি করে তোলনে। দবেী কালীর আরকে নাম শ্যামা বা আদ্যাশক্ত।ি উল্লখ্যে, সনাতন র্ধমাবলম্বীদরে মধ্যে গুণ অনুসারে শবৈ, শাক্ত, গাণপত্য ও বষ্ণৈব ধারায় ভগবানরে আরাধনা করা হয়ে থাক।ে বভিন্নি পুরাণ ও তন্ত্রশাস্ত্রে দবেী কালীর বভিন্নি রূপরে র্বণনা পাওয়া যায়। এর প্রধান কয়কেটি হলো- দক্ষণিাকালী, ভদ্রকালী (বরদশ্বেরী), সদ্ধিকালী, গুহ্যকালী, শ্মশানকালী, মহাকালী, রক্ষাকালী প্রভৃত।ি ববিধি রূপরে দবেী কালী বভিন্নি মন্দরিে আবার বভিন্নি নামে পূজতিা হন যমেন- ব্রহ্মময়ী, ভবতারনিী, আনন্দময়ী, করুণাময়ী ইত্যাদ।ি তবে দক্ষণিাকালী রূপে বগ্রিহই র্সবাধকি পূজতিা হন।
দক্ষণিাকালী চতুর্ভ‚জা। তাঁর চার হাতে রয়ছেে খড়গ, অসুররে ছন্নি মুÐ, বর ও অভয় মুদ্রা। গলায় রয়ছেে অসুররে মুÐমালা। দবেীর গাত্র র্বণ-কৃষ্ণ, মাথায় আলুলায়তি কশে। রণচÐী র্মূততিে তনিি অত্যাচারী অসুরদরে নধিনে ব্যস্ত, দকিবগিদিকি জ্ঞানশূন্য। তাঁর অসুর নধিন যজ্ঞরে উন্মত্ততায় পৃথবিীর মহাপ্রলয় যখন আসন্ন, তখন সকল দবেতাগণ নরিুপায় হয়ে দবোদদিবে মহাদবেরে শরণাপন্ন হন। আর র্প্রাথনা করনে যনে এ যাত্রায় পৃথবিীকে মহাপ্রলয়রে হাত থকেে যনে বাঁচয়িে দনে। তখন মহাদবে উপায়ান্ত না দখেে দবেীর চলার পথে শুয়ে পড়ার লীলা করনে। রণচÐীদবেী চলতে চলতে তাঁর পায়রে নচিে দবোদদিবে মহাদবেকে দখেতে পয়েে তৎক্ষণাৎ রণভঙ্গ দনে এবং এহনে উন্মত্তার জন্য লজ্জতি হন। আর ভুল স্বীকারে দাঁত দয়িে নজিরে জীহŸা চপেে ধরনে। আর এই মুর্হূতটাই ধরাধামে অশুভ শক্তি বনিাশরে প্রতীক হসিবেে দনিটতিে মা কালীর পূজা করা হয়। তনিি জষ্ঠ্যৈ মাসে ফলহারনিী এবং মাঘ মাসে রটন্তীকালী রূপওে পূজতিা হন।
এই পূণ্য দনিে ভগবান শ্রী রামচন্দ্র অশুভশক্তরি প্রতীক রাবণকে বধ করে নজিরাজ্যে ফরিে এসছেলিনে এবং ভগবানরে বহরিঙ্গা শক্তি মা র্দুগার বশিষে রূপ মাকালী অত্যাচারী অসুরদরে নধিন করে পৃথবিীতে শান্তি স্থাপন করছেলিনে। তাই অশুভ শক্তি বনিাশ ও মঙ্গলময় আলোক উৎসব এই দুইয়রে আনন্দই ‘দীপাবলী’। ‘জয়ন্তী মঙ্গলাকালী ভদ্রাকালী কৃপালনিী/ র্দুগা শবিা সমার্ধ্যাত্রী সহাঃ সধাঃ নমোহস্তুত।ে’
লখেক : উপ-বভিাগীয় প্রকৌশলী, ঢাকা পাওয়ার ডস্ট্রিবিউিশন কোম্পানী লমিটিডে (ডপিডিসি)।
